ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ১৫ মে, ২০১৫

সরকারের জুলুম-নির্যাতনে জনগণ অতিষ্ঠ---------ডা: শফিকুর রহমান

দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান আজ ১৪ মে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। দেশের মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। সরকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের পরিবর্তে জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য সারাদেশে অব্যাহতভাবে মানুষের ওপর জুলুম-অত্যাচার চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ব্যস্ত রয়েছেন। সারাদেশে চলছে গণগ্রেফতার অভিযান এবং বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি করে হত্যা করছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনে জনগণ অতিষ্ঠ।
গত ১২ মে প্রকাশ্য দিবালোকে সিলেটের ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করা হয়েছে এবং গতকাল ১৩ মে ঢাকা মহানগরীর পল্লবীতে প্রকাশ্য দিবালোকে দুপুর দেড়টায় বাসায় ঢুকে দুর্বৃত্তরা গৃহবধূ সুইটি আক্তার ও তার মামা শ্বশুর আমিনুল ইসলামকে হত্যা করেছে। এ সব ঘটনা থেকে বুঝা যায় দেশে কি ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কিছু দিন পূর্বে দুর্বৃত্তরা আশুলিয়ায় একটি ব্যাংকে ডাকাতি করতে গিয়ে ৮ জন লোককে হত্যা করেছে। এছাড়াও প্রতিদিনই ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি, খুন ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এক পরিসংখ্যনে জানা যায় বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৬ জন লোক নিহত হচ্ছে। গত চার মাসে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে ৭০ জন লোক। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে ৫৩ জন ও আহত হয়েছে ৩০ জন। আহতদের বেশীর ভাগ লোকই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গত এক বছরে পুলিশের হাতে ৪০ জন নারী নির্যাতিত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, ডাকাতি, ছিনতাই ও গ্রেফতার বাণিজ্যের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে আইনÑশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা, গুম, অপহরণ, অন্যায়ভাবে গণগ্রেফতার ও মানুষের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট চালানোর কাজে ব্যবহার করার ফলে তাদের দক্ষতা ও পেশাগত যোগ্যতা, সততা, নিরপেক্ষতা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যে কারণে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থির চরম অবনতি ঘটেছে। 
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাজনৈতিক দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে নিরপেক্ষভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করে দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন