আমেরিকাকে চমকে দিল তানিষ্ক অ্যাব্রাহাম৷ স্যাক্রামেন্টো, ক্যালিফোর্নিয়ার এই ইন্দো-মার্কিন কিশোর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে মাত্র ১১ বছর বয়সে স্নাতক হয়েছে স্যাক্রামেন্টোর আমেরিকান রিভার কলেজ থেকে৷ সেই সঙ্গে অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং বিদেশি ভাষায় তিনটে বাড়তি ডিগ্রি৷ রিভার কলেজ প্রথমে জানিয়েছিল, তানিষ্কই তাদের এবছরের সবথেকে কমবয়সি স্নাতক৷ কিন্তু কলেজের রেকর্ড খতিয়ে দেখে তারা ফের জানাল, শুধু এবছর নয়, কলেজের ইতিহাসে আর কেউ এত কম বয়সে স্নাতক হয়নি৷ অবশ্য এমন তাক লাগিয়ে দেওয়া তানিষ্কের এই প্রথম নয়৷ গত বছর আমেরিকার কনিষ্ঠতম হাই স্কুল গ্র্যাজুয়েট হয়ে গোটা দেশের নজর কেড়েছিল সে৷ অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন খোদ প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ বাড়িতে থেকে তানিষ্কের এই উঁচু ক্লাসের পড়াশোনার শুরু মাত্র সাত বছর বয়স থেকে৷ বেশি ‘আই কিউ’ওয়ালা লোকেদের যে বিখ্যাত ক্লাব ‘মেনসা’, চার বছর বয়স থেকে তার সদস্য তানিষ্ক৷ এবার স্নাতক হওয়ার পর টিভি চ্যানেলগুলোর কৌতুহলের জবাবে লাজুক মুখে বলেছে, এ আর কী এমন বড় ব্যাপার!
তানিষ্কের মা তাজি অ্যাব্রাহাম জানিয়েছেন, সেই কিন্ডারগার্টেনে পড়ার সময় থেকেই তানিষ্ক ওর ক্লাসের অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকত৷ সেই শুরু৷ দিনে দিনে অবস্হা এমন হল যে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে এনে বাড়িতেই পড়াশোনা শুরু করাতে হল, কারণ সহপাঠীরা ওর মেধার সঙ্গে পেরে উঠত না৷ কলেজে পড়তেও ওর তুলনায় বয়সে অনেক বড় সহপাঠীদের কেউ কেউ ওর ব্যাপারে অস্বস্তিতে থাকত৷ তবে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীই খুশি ছিল একজন ক্ষুদে সহপাঠী পেয়ে৷ বড় হয়ে কী হতে চাও? সাংবাদিকদের অবধারিত প্রশ্নে তানিষ্কের অপ্রত্যাশিত জবাব, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট৷ তবে তার আগে ডাক্তার৷ তারও আগে চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে চাই৷ নিজের গ্র্যাজুয়েশন ক্যাপের গায়ে তানিষ্ক লিখে রেখেছে ‘টয় স্টোরি’ ছবি থেকে ওর প্রিয় উদ্বৃতি– ‘টু ইনফিনিটি অ্যান্ড বিয়ন্ড’৷ অনন্তের পরেও কী আছে, খুঁজতে চায় তানিষ্ক অ্যাব্রাহাম!-আজকাল, কলকাতা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন