দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন সাগরে ভাসমান এবং উদ্ধার হওয়া কয়েক হাজার রোহিঙ্গা মুসিলম এবং বাংলাদেশি অভিবাসীর জন্য এক মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮০ কোটি টাকা) অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক সরকার।
বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়।
এর আগে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী আহমদ দাভুতুগ্লু জানিয়েছিলেন, ভাসমান অভিবাসীদের উদ্ধারে একটি সামরিক জাহাজ ইতোমধ্যে রওয়ানা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
এদিকে ঘোষিত অনুদানও আইওএমের মাধ্যমে খরচ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
তুরস্কই প্রথম এই ইস্যুতে আর্থিক অনুদানের ঘোষণা দিল। এর আগে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নীরব থেকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বুধবার ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া সরকার সাত হাজার অভিবাসীকে এক বছরের জন্য আশ্রয় দিতে রাজি হয়।
একই সময়ে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া মিয়ানমারও ‘মানবিক সহায়তা’ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। এর আগে ফিলিপাইন একই রকম ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র এবং আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেরি হার্ফের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।
মেরি হার্ফ বলেন, অভিবাসীদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনে জাতিসংঘ অভিবাসন এজেন্সির নেতৃত্বে বহুজাতিক প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'মানুষ হিসেবে এবং মুসলিম হিসেবে অন্য দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কষ্ট লাঘব করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।' কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলিমকে জাম্বিয়া নিয়ে পুনর্বাসনেরও ইচ্ছা ব্যক্ত করা হয় বিবৃতিতে।
এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের মতো ভাসমান অভিবাসী ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারণা, এখনো চার হাজারের মতো মানুষ ভাসমান আছেন।
সূত্র: টুডে’স জামান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন