দেশের সবচেয়ে পুরাতন ও ঐতিয্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। এই দলটি ক্ষমতার পালাবদলে দ্রুতগামী গাড়ির মতো ব্যালেন্স হারিয়েছে অনেকবার। ক্ষমতাই যেন দলটির জন্য বেশীর ভাগ সময় কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও মনে হয় তার ব্যতিক্রম নয়। ক্ষমতা হাতে পেলেই এই দলটি একক কর্তৃত্ব কায়েম করতে গিয়ে ‘ওয়ান ম্যান ও ওয়ান পার্টি’ এই সূত্রটির প্রয়োগ করে সবচেয়ে বেশি। ফলে দেশ হয়েছে গণতন্ত্রহীন আর দলের মধ্যে ব্যক্তি হয়ে ওঠেন ”ক্ষমতার একক নায়ক”। এখান থেকে শুরু হয় স্বৈরাচারী আচরন। আর সরকারের ফ্যাসিষ্ট চরিত্রের শিকার হন দেশের নিরিহ জনগন। জাতির কাঁধে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে একদলীয় শাসন। এই ব্যক্তি স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে শেখ মুজিবুর রহমানের মতো আকাশচুম্বী জনপ্রিয় নেতাকে নামিয়ে আনল মানুষের ভালবাসার শূন্যের কোটায়। শেখ হাসিনার শাসনামল ও এখন তারই পদযাত্রী!!
স্বৈরতান্ত্রিক একদলীয় শাসন দেশের জনসাধারণও বিরোধীদলের জন্য সাময়িক বিপদজনক মনে হলেও এর সুদুর প্রসারী ক্ষতির খেসারত দিতে হয় দলকে। এ জন্য নিকট অতীত থেকে অসংখ্য উদাহরন হাজির করা যাবে। আপাত:দৃষ্টিতে দেশের একশ্রেনীর বুদ্ধিজীবি,সুশীল,মিডিয়া এবং সুবিধাভোগী নেতা-কর্মীর সমর্থন বাহবাহ থাকলেও দল বিপদে পড়লে কেউ আর এর দায় নেয় না। মুল নেতৃত্ব এবং কতৃত্বে থাকা ব্যাক্তির উপরই সব বর্তায়। এক এগারোর পর সেই দৃশ্য গোটা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের মত পুরাতন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে এখন যেন-তেন নীতি আর পথ যেভাবে অনুসরন করছে তা গোটা জাতি এবং আওয়ামী লীগের জন্যও সর্বনাশ ঢেকে আনবে।
১৯৭২থেকে ৭৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলের দু:শাসনের কারনে এ দেশের জনগন ২১ বছর তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। পরবর্তীতে জাতির নিকট ক্ষমা চেয়ে গনতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে তারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে গনতন্ত্র কে গলাটিপে হত্যা করে আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ সিটিকর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট ডাকাতি করে গনতন্ত্রের ”চল্লিশা” অনুষ্ঠিত করেছে দলটি। এখন গনতন্ত্র শূন্য বাংলাদেশ। এ জন্য এখন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছে-তারা ‘বেশি’ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের এই বক্তব্যের পর দেশের জনগনের মধ্যে কৌতূহল বৃদ্ধি পায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন ও এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার পর সম্ভবত দলটি মনে করছে গনতন্ত্রের বিকল্প লাগবে। জনগণকে এখন গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাতে হবে!!। তাই প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল নেতাদের ভাষণ-বক্তব্যে জায়গা করে নেয় এই ‘উন্নয়ন’। সর্বত্র তর্ক-বিতর্কেও উঠে আসতে শুরু করে উন্নয়ন না গণতন্ত্র, কোনটি আমাদের জন্য বেশি জরুরি!!।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম আরো বলেছেন, ‘মালয়েশিয়ায় মাহাথির মোহাম্মদ যে পথে এগিয়ে গেছেন, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনা সে পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।’ মালয়েশিয়ার ‘উন্নয়ন’ নিশ্চয়ই একটি আলোচিত বিষয়, কিন্তু ‘গণতন্ত্র’ বা ‘গণতান্ত্রিক’ দেশের আলোচনায় মালয়েশিয়ার অবস্থান কোথায়? কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ মাহাথিরকে মডেল হিসেবে বাছাই করলো কেন? ধর্মনিরপেক্ষবাদী আওয়ামী লীগ কেন একজন কট্ররপন্থী মুসলিম নেতাকে মডেল বানালো? বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত অথবা অন্যকারো কথা না বলে একটি মুসলিম রাষ্ট্র এবং মুসলিম নেতাকে কেন মডেল বানাবেন? তাহলে এটাও কি জনগনের সাথে ধোঁকাবাজি? কারণ তারাতো সেক্যুলারিজমে বিশ্বাসী। না ক্ষমতায় টিকে থাকার আওয়ামী অপকৌশল?
আমরা যদি মনে করি আওয়ামীলীগ মনে প্রানে মালয়েশিয়াকে মডেল হিসেবে অনুকরণ করতে চায়!! তাহলে আওয়ামী লীগ এ প্রশ্নগুলোর উত্তরে কি বলবে? মালয়েশিয়ার উন্নয়ন করতে গিয়ে মাহাথির রাষ্ট্রীয় ও দলীয় বাহিনী দিয়ে, বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষকে হত্যা,গুম, করেছেন কতজন? নিখোঁজ হয়েছে কতজন? জাতি সংঘ সহ বিশ্বের কতটি দেশ এবং সংস্থা মাহাথির সরকারের মানবাধিকার লঙ্গনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে? শেয়ার বাজার,ব্যাংক লুটপাট এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে কতটাকা দূণীতি করেছে মাহাথির এবং তার দলের নেতা-কর্মীরা? কতগুলো মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছেন? ড.মাহাথিরের ছাত্রসংগঠন মালয়েশিয়ার কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য তথা মিনি ক্যান্টনমেন্ট বানিয়েছে?
ড.মাহাথিরের শাসনমলে মালয়েশিয়ায় কত ছাত্র নিহত হয়েছে? কতজন নারী ইজ্জত হারিয়েছে? কতজন শ্রমিক নিহত হয়েছে? জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য তার মাহাথিরের কতজন সাংসদ বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন? কি পরিমান ভোট জালিয়াতি এবং ডাকাতি করেছেন ড. মাহাথির মোহাম্মদ। আওয়ামী লীগের দু:শাসনের এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন করা যাবে যা মালয়েশিয়ায় অথবা মাহাথিরের শাসনমলে সংঘঠিত হয়নি। যদি মালয়েশিয়ায় উন্নয়ন এবং মাহাথির শাসনমলের সাথে আওয়ামী লীগের আকাশ-জমিন পার্থক্যই থাকে তাহলে কেন ড. মাহাথির শাসনের কথা বলে জনগনকে আওয়ামীলীগ আবার ও বিভ্্রান্ত করছে?
আমরা জানি ড. মাহাথির মোহাম্মদ শাসনের দু,একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থাকলেও তিনি মালয়েশিয়ার উন্নয়ন এবং অগ্রগতির প্রতিক। মাহাথির জোর করে ক্ষমতায় আকড়ে থাকেন নি। যেটি আজ আওয়ামী লীগ করছে। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোটায়। আর ড. মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় থেকে সে¦চ্ছায় সরে গিয়েছেন। দেশের জনগন মাহাথির কে অশ্রুসিদ্ধ বিদায় জানিয়েছেন। সুতরাং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য আব্রাহিম লিংকন,গান্ধী,মাহাথির, কারো উদাহরন দিয়ে আর পার পাবে কি?
ড.মাহাথির মোহাম্মদ এর ২২ বছরের স্মৃতিকথা নিয়ে আতœজীবনী ”এ ডক্টর ইন দ্যা হাউস” বইতে মাহাথির লিখেছেন-” আমি এই সমস্ত বিষয়ে কিছুটা ভূমিকা রেখেছি, কিন্তু মালয়েশিয়ার বিষ্ময়কর প্রগতির জন্য আমার পূর্বসুরীদের প্রশংসা না করলে সেটা হবে অবহেলার শামিল। তারা ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন –আমি কেবল সেটার উপর নির্মাণ করেছি। তাদের সুক্ষ বিচার ও দুরদৃষ্টি ছাড়া আমার কাজ অসম্ভব কঠিন হয়ে পড়ত।” এমন উদার নেতার এই বক্তব্যের সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ও আওয়ামীলীগের বক্তব্য যায় কিনা তা পাঠকদের উপর বিচারের দায় রাখলাম। অন্য দিনের লেখায় মাহাথিরকে আবিস্কার করে আমরা দেখাব মাহাথিরের সাথে আওয়ামী লীগকে মিলানো কত বড় পাপ।
কলামিষ্ট জনাব জাকারিয়া লিখেছেনÑ”গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ‘উন্নয়নের’ সংজ্ঞা ঠিক করা। যুক্তরাজ্যের স্বাধীন থিংকট্যাংক ওভারসিস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের রাজনীতি ও শাসনবিষয়ক রিসার্চ ফেলো আলিনা রোচা মেনোকাল গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে পাঠ করা প্রবন্ধে বলেছেন, উন্নয়নের এই সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি আমরা অমর্ত্য সেনকে বিবেচনায় নিই, তবে তা বেশ ব্যাপক। তাঁর কাছে উন্নয়নের সংজ্ঞা হচ্ছে ‘মুক্তি’। কারণ তিনি শুধু অর্থনৈতিক সূচককেই উন্নয়নের সংজ্ঞায় যুক্ত করেননি। রাজনৈতিক ও মানবিক মুক্তি, সামাজিক সুযোগ, স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা, সুরক্ষামূলক নিশ্চয়তার বিষয়গুলোকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাহাথির মোহাম্মদের পথে এগোতে থাকলে ‘উন্নয়নের’ গতি কতটুকু বাড়বে, সেটা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। কিন্তু এই ধারার উন্নয়ন চেষ্টায় আর যাই হোক, অমর্ত্য সেনের উন্নয়ন সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের জনগণের রাজনৈতিক ও মানবিক মুক্তি মিলবে না। স্বচ্ছতার নিশ্চয়তাও পাওয়া যাবে না। উন্নয়নের বড় শত্রু দুর্নীতি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিহীন পরিস্থিতি বরং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।”
গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়মী লীগের ভয়ঙ্কর দানবীয় রূপ অনেক পুরনো। শেখ মুজিব যখন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেন, তখন লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফে পিটার গিল লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান তার দেশ থেকে পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু লাথি মেরে ফেলে দিয়েছেন। মাত্র এক ঘণ্টা স্থায়ী অধিবেশনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে শেখ মুজিবকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছে এবং একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে ক্ষমতা অর্পণ করেছে। অনেকটা নিঃশব্দে গণতন্ত্রের কবর দেয়া হয়েছে। বিরোধী দল দাবি করেছিল, এ ধরনের ব্যাপক শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তনের ব্যাপারে আলোচনার জন্য তিন দিন সময় দেয়া উচিত। জবাবে সরকার এক প্রস্তাব পাস করল যে, এ ব্যাপারের কোনো বিতর্ক চলবে না।’ শেখ মুজিব এমপিদের বললেন, পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র ছিল ‘ঔপনিবেশিক শাসনের অবদান’। তিনি দেশের স্বাধীন আদালতকে ‘ঔপনিবেশিক ও দ্রুত বিচার ব্যাহতকারী’ বলে অভিযুক্ত করলেন।
”আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের দাবি যে কতটা মেকি, সেটির প্রমাণ তারা এভাবেই সেদিন দিয়েছিল। দলটির নেতাকর্মীরা সেদিন দলে দলে বাকশালে যোগ দিয়েছিল, এ রকম একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের বিবেকে সামান্যতম দংশনও হয়নি। (সূত্র : নৈর্বাচনিক স্বৈরতন্ত্র গণতন্ত্রের সংগ্রাম, নূরুল কবীর)।
আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ ও জনগণকে শাসন করার চেষ্টা চলছে এখানে। খুন-গুম, জীবনের নিরাপত্তাহীনতার আজানা আতঙ্ক তাড়া করছে প্রতিটি নাগরিককে। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এই জালিম সরকারের জুলুম-নির্যাতন, বঞ্চনা, অপমান আর লাঞ্চনার শিকার। জনবিচ্ছিন্ন এই সরকার এখন জনগণকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। জেফারসনের ভাষায়Ñ ‘যখন সরকার জনগণকে ভয় পায়, তখন এটা স্বাধীনতা’ আর ‘জনগণ যখন সরকারকে ভয় পায়, এটা নিষ্ঠুরতা ও নিপীড়ন’।”
অ্যাডলফ হিটলার তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে কাল্পনিক শত্রুর সৃষ্টি করতে হবে। তা করে দেখাতে হবে যে দেশ বিপদাপন্ন। এতে জনসাধারণ ভীত হয়ে পড়বে। জনগণ ভীত হলেই তাদের দাসত্বে পরিণত করা সহজ।” জনগণের দুর্ভোগ যত বেশি হবে, ততই রাজনীতিবিদগণ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য শক্তিশালী হবে। স্যার অর্নেস্ট বেন তাই বলেছেন, “বিপদ অন্বেষণ করার কৌশলই হচ্ছে রাজনীতি। বিপদ থাকুক আর নাই থাকুক। তাই কখনো আল-কায়েদার ভিডিও ,কখনো আইএস,বোকো হারাম,ইত্যাদির জিগির তুলে আওয়ামী লীগ বুঝাতে চায় আমরা ক্ষমতায় না থাকলে এদের উত্থান হবে। ক্ষমতায় থাকার এই অসুস্থ রাজনীতি গোটা জাতির জন্য আজ অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
আমাদের মেধাবী তরুণ প্রজন্ম শুনেছে, বাকশালের অত্যাচার আর নিষ্ঠুরতার কাহিনী। এখন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি, লূটপাট,সন্ত্রাস, দূণীতি,শোষণ নিজ চোখে দেখছে। তবু তাদের চোখে আজ এগিয়ে যাবার স্বপ্ন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ইতিহাস থেকে রাজনীতিবিদরা শিক্ষা না নেবার কারণে বারবার চরম মূল্য দিচ্ছে এ জাতি। কিন্তু কেন? তাহলে আমরা কি ২৮ অক্টোবর কিংবা তার থেকে বড় রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে ধাবিত হচ্ছি? আমরা কি বার বার মীমাংসিত ইস্যুগুলো জাগিয়ে জাতিকে বিভেদ আর বিভক্তির দিকে ঠেলে দেব? এ রাজনৈতিক খেলা জাতিবিনাশী আর আত্মঘাতী!। তার খেসারত দিচ্ছে আজ গোটা জাতি। কারো খেয়াল-খুশির শাসন গনতন্ত্র হতে পারে কি?
এ কথা আপাতত পরিষ্কার আওয়ামী লীগ গনতান্ত্রিক পথে হাটছে না! আওয়ামী লীগ জানা থাকা উচিৎ তাদের দু:শাসনের গোটা চিত্রই এখন তরুণ প্রজন্মের মেধাবীদের হাতে মুঠোই। আওয়ামী লীগ নতুন প্রজন্মের প্রথম পাওয়া ভোটের অধিকার কেড়ে নেবার পর দেশের জনগনের বাকস্বাধীনতা! রুদ্ধ করতে চায়!। দ্যা ইকোনোমিস্ট সে ইঙ্গিত দিয়ে সম্প্রতি রিপোট চেপেছে। কিন্তু আজকের গ্লোবাল পৃথিবীর একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে শেখ হাসিনা হতে যাচ্ছেন ড.মাহাথির আর উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে মালেয়েশিয়া তরুণ প্রজন্ম ঘুমপাড়ানিয়া এই গল্প শুনেই সময় কাটিয়ে দিবে? আওয়ামী লীগ তাদের বিভিন্ন চলনা,দিয়ে জনগনকে বোকা বানিয়ে কতদিন শাসন করতে পারে!! না জনগন তাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে জয়ী হয় সেটাই এখন দেখবার অপেক্ষা..
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন