ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৫

যৌথ অভিযানে ভাঙচুর ও বিচারবহির্ভূত হত্যায় এইচআরসির উদ্বেগ


বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সঙ্ঘাত এবং বিরোধীদের দমনে পরিচালিত যৌথবাহিনীর অভিযান বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন। গতকাল
সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে যৌথবাহিনীর অভিযান কালে বিরোধীদের বাড়িঘর দোকান ভাঙচুর ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দমনে সরকার গত ১৫ জানুয়ারি থেকে যৌথবাহিনী মোতায়েন করে। সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয় যৌথ অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করাসহ আগুন লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ কাজে সহায়তা করছে শাসক দলের সদস্যরা। দমনাভিযানের কারণে নারী শিশুসহ শত শত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। আশ্রয়ের সন্ধানে গ্রামবাসী বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং শাসক দলের পক্ষ থেকে জনগণের নিরাপত্তা এবং জনজীবন স্বাভাবিকীকরণের নামে এ অভিযান পরিচালনার কথা বলা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি বিরোধী রাজনৈতিক দল দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিলে এ দমনাভিযান শুরু হয়। এক বছর আগে প্রহসনের নির্বাচন উপলক্ষে বিরোধী জোট এ অবরোধ ঘোষণা করেন। ওই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হয়। বিরোধী জোট এ নির্বাচন বয়কট করে এবং তারা সেই থেকে সরকারকে অবৈধ আখ্যায়িত করে সরকারের পদত্যাগ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করে আসছে।

৫ জানুয়ারি বিরোধী জোটের কর্মসূচিকে সামনে রেখে ৩ জানুয়ারি থেকে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অফিসে তালা লাগিয়ে দেয় এবং তাকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখে। তাদের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ যদিও সরকারি দলের পক্ষ থেকে সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারি থেকে সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুই ডজনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস কমিশন।

বিবৃতিতে বলা হয় বিরোধীদের দমনের জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর কথা বলা হয়েছে। বিজিবি মহাপরিচালকের পক্ষ থেকেও বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে জানমাল রক্ষায় প্রয়োজনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হবে। একই হুমকি দেয়া হয়েছে আইজিপি এবং র‌্যাবের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকেও। আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও পুলিশ নির্বাচিত সরকারকে রক্ষা করবে এবং আন্দোলনের নামে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কর্তৃক যে নৈরাজ্য ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে তা দমন করা হবে।

গত এক সপ্তায় কমপক্ষে তিনজন বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামানকে (৩০) ২০ জানুয়ারি ডিবি পুলিশ, মতিউর রহমানকে (২০) যৌথবাহিনী এবং নড়াইল জেলা মিউনিসিপাল কাউন্সিলর ইমরুল কায়েসকে (৩৫) ১৯ জানুয়ারি ডিবি পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক দাবি করা হয়েছে তারা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

এরই মধ্যে সাত হাজারের বেশি বিরোধী নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে সারা দেশে। তাদের বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা।

বিরোধী নেতাকর্মীদের পারস্পরিক যোগাযোগ বন্ধ করতে বিটিআরসি কর্তৃক ভাইবার, ট্যাঙ্গো, হোয়টসঅ্যাপ, মাইপিপলও লাইন বন্ধ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তীব্র দলীয়করণের কারণে এখানে নির্যাতিতদের প্রতিকার পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন