ড. গাব্রিয়েলা গুয়েলিলের ঢাকা আসা হলো না। পেশাদার এই কূটনীতিককে জার্মান সরকার ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। যথারীতি ঢাকায় তার এগ্রিমো পাঠানো হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তার এগ্রিমো বাতিল করে দিয়েছে। কি কারণে তা স্পষ্ট নয়। তবে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সাইপ্রাসে অবস্থানকালে তিনি নাকি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কি মন্তব্য করেছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে তিনি সাইপ্রাস থেকে বিদায় নিয়েছেন। বিদায় নেয়ার আগে ৪ঠা জুলাই তিনি সাইপ্রাসে বলেন, তার আগামী দায়িত্ব হবে বাংলাদেশে। তিনি সেখানে ফরাসি দূতাবাসের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবেন এবং একই ভবনেই থাকবেন। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে জার্মান সরকার হতাশ এবং বিব্রত। যদিও তাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বিবৃতি দেয়া হয়নি। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী স্বাগতিক দেশ আপত্তি জানালে নাম পরিবর্তনের বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে জার্মানি নতুন কাউকে হয়তো রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেবে। যদিও কয়েক মাস হয়ে গেল এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেয়নি জার্মান সরকার। স্পষ্টবাদী জার্মান এই কূটনীতিক দেশে-বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছেন তার প্রজ্ঞা দিয়ে। ওয়াকিবহাল কূটনীতিকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে কিছুটা হলেও টানাপড়েন চলছে ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের পক্ষে জোরালো অবস্থান রেখে আসছে। জার্মানির এই কূটনীতিকের এগ্রিমো বাতিলের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা হলেও সঙ্কটের মুখে পড়বে।
উৎসঃ আমার দেশ অনলাইন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন