ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৫

জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত কমিশন করে নৈরাজ্যকারিদের সনাক্ত করুন ’

বাংলাদেশ বার্তা :২১ জানুয়ারি ২০১৫: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগনের বুকে গুলি চালানো বন্ধের আহবান জানিয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ বলেন, বর্তমান সঙ্কট কোন ফৌজদারী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এটা রাজনৈতিক সঙ্কট। সুতরাং জনগণের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা ও দেশ থেকে অপরাধ নির্মূল করা আপনাদের পেশাগত দায়িত্ব। আপনারা আপনাদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন। জনগণের বুকে গুলি চালানো বন্ধ করুন। তিনি বলেন, কোন দলের স্বার্থ রক্ষা আপনাদের দায়িত্ব নয়। অবৈধ, অনির্বাচিত সরকারের গদি রক্ষার জন্য জনগণের বুকে গুলি চালানোর অসাংবিধানিক ও অমানবিক পথ থেকে আপনারা বিরত হোন। আজ এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর বলেন,এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। শতকরা ৫ ভাগ ভোটারও এ সরকারকে ভোট দেয়নি। অতএব চলমান সঙ্কট সরকারের সৃষ্ট রাজনৈতিক । এটা আইন-শৃঙ্খলার কোন সমস্যা নয়। তিনি বলেন, আমাদের সাংবিধানিক অধিকার মিছিল, সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কোথাও মিছিল বের হলেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলি চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে নিরুপায় হয়ে ২০ দলীয় জোট অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। সরকার এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য পুলিশ প্রহরায় গাড়ি চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুষ্কৃতকারীরা নারী, শিশু ও নিরীহ যাত্রীদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। পুলিশ প্রহরায় যানবাহনে এসব হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করে তার দায় বিরোধী দলের উপর চাপানো রহস্যজনক। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার আমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে কিংবা বোমা নিক্ষেপকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে জামায়াত-শিবিরের উপর দোষ চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগ। মানুষের জান-মালের ক্ষতি করার রাজনীতিতে জামায়াত বিশ্বাস করে না। জামায়াত এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয় না। অতীতে যাত্রীবাহী বাসে গানপাউড়ার দিয়ে আগুন লাগিয়ে মানুষ হত্যা, বোমা নিক্ষেপ ও লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে মানুষ হত্যা, মৃত লাশের উপর দাঁড়িয়ে উল্লাস করা এবং পুলিশ খুনের অপরাজনীতি আওয়ামী লীগই করেছে। এখনো তারাই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এসব নৃশংস ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে চলমান সন্ত্রাস, হত্যা ও নৈরাজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্তদের শনাক্ত করে তাদের ব্যাপারে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। এ ধরনের কমিশনকে জামায়াতের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
উৎসঃ ঢাকার নিউজ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন