ছাত্রদের হাতপায়ের নখ উপরে ফেলা হয়েছে |
শুধুই নিজেদের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে, অনিদিষ্টকাল ক্ষমতায় থাকতে আইন-শৃংখলঅ আর নিয়মকানুনের ধার না ধেরে নিজেদের ইচ্ছে মত দেশ চালাতে, সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের মতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এগিয়ে চলছে সরকার। এই লক্ষ্যে সম্পূর্ণ বাংলাদেশকে একটি কারাগার ও নির্যাতন সেলে পরিনত করেছে। দেশের সরকার, সরকার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ, প্রজাতন্ত্রের সর্বেোচ্চ কর্মকর্তা কর্মচারীসহ কারো মধ্যেই সত্যের বালাই নেই। এই যুগে এই বাংলাদেশে জন্ম না নিলে বুঝতে পারতাম না মানুষ এত মিথ্যা কথা বলতে পারে। নিজেদের অন্যায় অপকর্মের দায় অন্যদের উপর চাপানোর জন্য মিথ্যার ঝুলি নিয়ে তারা বসেছে। এই সরারের শুরু থেকে তারা যে হত্যা-নির্যাতন ও অপকম্যের সাথে জড়িত তার কারণে যে কোন সময় গণবিপ্লব হতে পারে! এই সম্ভাবনাকে ট্রেকিং করার জন্য এবং বিপ্লবের সম্ভাবনাকে অঙ্কুরে ধ্বংস করার জন্য রাজনৈতিক, সামরিক, বেসামরিক এবং কি সরকারী কর্মকর্তা গণের মধ্যে যারা সৎযোগ্য নানা ভাবে তাদের উপর চলছে গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, রিমান্ডের নামে চরম অমনিবিক নির্যাাতন। পাশের ছবির শিবির নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে হাতপায়ের নখ উপরে ফেলা হয়েছে। কোথা নাগরিক অধিকার, কোথায় মানবতা। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ডঃ শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ শিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে অমনিবিক নির্যাতনে মাধ্যমে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। ইসলাম বিরোধী শক্তি তাদের স্বার্থে ভালভাল কথা বললেও এ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা কিছু বলে না। তারা সত্যকে দেখে না। কুরআনের ভাষায়-তারা অন্ধ, বোবা, কালা। বরং তারা বিানিয়ে বানিয়ে এ সব ভাল ছেলেদের নামে মিথ্যাচার করে। যে পুলিশ এই নির্যাতিন চালিয়ে যাচ্ছে দেদারসে, তারাও বুঝতে পারছে না, তারা কি করে যাচ্ছে কি ক্ষতি তারা করছে- একটি সন্তান মায়ের পেটে ১০ মাস ১০ দিন লড়াই করে পৃথিবীতে আসে, দেশের সম্পদ হিসাবে গড়তে আরও ২৫-৩০ বছর সময় লাগে। আর অশিক্ষিত মূর্খ পুলিশের এক একটি বুলেটে নিমিষেই ঝরে যাচ্ছে এক একটি তাজা প্রাণ। মানুষের জীবন কি এতই সস্তা? পুলিশ প্রশাসন হাতে অস্ত্র পেয়ে জংলী জানোয়ার হয়ে গেছে।তাই যাকে ইচ্ছে তাকে গুলি করে মারছে। অথচ যাদেরকে মারছে তাদের পা মোছার যোগ্যতাও এই মূর্খদের নাই।
বন্ধ করা হউক এই নির্যাতন। যাদেরকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য এই নির্যাতন তাদের ছেড়ে দেয়া হউক জনগণের ফায়সালার জন্য। কারণ জনগণ দেশের মালিক। জনগণ যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাই হবে। যারা জনমতকে ভয় পায় তারাই নির্যাতনের পথ বেছে নেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন