বাংলাদেশ বার্তা- ১৮ জানুয়ারি ২০১৫: সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাপ্রিবি) ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত তিনটি হলে শতকরা ৯৩ ভাগই ছাত্রই ছিলেন অবৈধ। তারা হলে থাকার জন্য কোনো ধরনের ফি দিতেন না। ছাত্রলীগ নেতাদের ধরেই বিভিন্নজন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আসন গাড়তেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাবির বঙ্গবন্ধু হল, শাহপরান হল ও সৈয়দ মুজতবা হলে আসন সংখ্যা হচ্ছে যথাক্রমে ৫০৮, ৪৪৭ ও ৬৪টি। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু হলের মাত্র ৫৮টি আসনে বৈধ ছাত্র ছিলেন। একই অবস্থা শাহপরান হলেও। হলটিতে মাত্র ৭০ জন বৈধ ছাত্র থাকতেন। আর সৈয়দ মুজতবা হলে সবগুলো আসনেই ছিলেন অবৈধরা।
শাবিতে এ অবস্থা আগেও ছিল। যখন বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় ছিল, তখন শাবির হলগুলোর নিয়ন্ত্রণ করতো ছাত্রদল-ছাত্রশিবির। এরও আগে আওয়ামী লীগ শাসনামলে ছিল ছাত্রলীগের দাপট।
তবে এ অবস্থা আর থাকবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এখন থেকে হলগুলোতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত বৈধ ছাত্রদেরকেই হলে থাকার অনুমতি দেয়া হবে।
এ লক্ষ্যেই হলগুলোতে অবৈধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং হলগুলো অস্ত্রশূন্য করতে গতকাল শনিবার পুলিশের সহায়তায় হলে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ছিল ৫৫টি রামদা, ৮১টি পাইপ, ১২৪টি রড, ১০টি ছুরি ও একটি চায়নিজ কুড়াল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৮টায় কথা হয় শাবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক আমিনুল হক ভুঁইয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো অবৈধরা হলে উঠেছিল, বৈধ ছাত্রদের সংখ্যা কম ছিল। তবে এখন থেকে আমরা এ বিষয়টির ওপর জোর নজর দেব। আবাসিক হলগুলোতে যাতে বৈধরাই উঠতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
উৎসঃ ঢাকার নিউজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন