পিতামাতার অবাধ্যতার অনকেগুলো বাহ্যিক রূপ ও আকার-প্রকৃতি রয়েছে; সেগুলো নিম্নরূপ[10]:
১. পিতামাতাকে কাঁদানো ও দুঃখ দেওয়া:
চাই তা কথার দ্বারা হউক অথবা কাজের দ্বারা, অথবা অন্য কোনো পন্থায়।
চাই তা কথার দ্বারা হউক অথবা কাজের দ্বারা, অথবা অন্য কোনো পন্থায়।
২. তাদেরকে ধমক ও হুমকি দেওয়া:
আর এটা হতে পারে উচ্চস্বরে কথা বলার দ্বারা; অথবা তাদেরকে কঠোর ভাষায় শক্ত কথা বলা; আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿ وَلَا تَنۡهَرۡهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوۡلٗا كَرِيمٗا ٢٣ ﴾ [الاسراء: ٢٣ ]
“তাদেরকে ধমক দিও না; আর তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বলো।”[11]
আর এটা হতে পারে উচ্চস্বরে কথা বলার দ্বারা; অথবা তাদেরকে কঠোর ভাষায় শক্ত কথা বলা; আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿ وَلَا تَنۡهَرۡهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوۡلٗا كَرِيمٗا ٢٣ ﴾ [الاسراء: ٢٣ ]
“তাদেরকে ধমক দিও না; আর তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বলো।”[11]
৩. পিতামাতার আদেশ-নির্দেশের কারণে ত্যক্ত ও বিরক্ত হওয়া:
আর এটা এমন এক চরিত্র, যা বর্জন করাটাকে আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে আদব ও শিষ্টাচার বলে শিক্ষা দিয়েছেন; কারণ, এমন অনেক মানুষ আছে, যাকে তার পিতামাতা যখন আদেশ করে, তখন সে ‘উফ্’ বলে তার বিরক্তিসূচক কথা প্রকাশ করে, যদিও সে অচিরেই তাদের আনুগত্য করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفّٖ ﴾ [الاسراء: ٢٣]“তাদেরকে ‘উফ্’ বলো না।”[12]
৪. পিতামাতার সামনে ভ্রুকুটি করা এবং কপাল ভাঁজ করে ক্রোধ প্রকাশ করা:
আপনি কোনো কোন মানুষকে বিভিন্ন মাজলিস ও আসরে দেখতে পাবেন হাস্যোজ্জ্বল, মুচকি হাসিসম্পন্ন, উত্তম চরিত্রবান, উত্তম কথার কারিগর ও মিষ্টিভাষী; অতঃপর যখনই সে বাসায় প্রবেশ করবে এবং পিতামাতার সামনে গিয়ে বসবে, তখন সে প্রভাবশালী সিংহে রূপান্তরিত হয়ে যায়, কোনো কিছুই পরোয়া করে না; ফলে তার অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যায়, নম্রতা-ভদ্রতা চলে যায়, উদারতা লোপ পায় এবং তার মাঝে কঠোরতা, রূঢ়তা, হীনতা ও অশ্লীলতার আগমন ঘটে। এটাকে সত্যে পরিণত করে কথকের কথা:
مِنَ النّاسِ مَنْ يصلُ الأبعدينَويشقَى بهِ الأقربُ الأقربُ
(মানুষের মাঝে কেউ কেউ আছে অনেক দূরতমদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে,
আর তার কাছে নিকটমতম থেকে নিকটতম ব্যক্তিরা হতভাগ্য হয়ে যায়)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন