মহান আল্লাহ্ বিশ্ব জগতের রহমত স্বরূপ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে এই জগতে প্রেরণ করেন। বিশ্বনবীর আবির্ভাবে পৃথিবীতে মানুষ ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান পায় এবং নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভ করে। সমাজে বিদ্যমান শত অনাচার ও কদর্যতার গ্লানি উপেক্ষা করে মহানবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন।
মহানবী (সাঃ) মানব জাতির জন্য এক উজ্জল অনুসরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রনা ভোগ করে তার উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দুর করে অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতন বরণ করে সত্য ও ন্যায়কে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দু:খী মানুষের সেবা, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমত সহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমাগুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সাঃ) এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অভিষিক্ত।
আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী (সাঃ) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি।
আমি পবিত্র মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জন্য অসংখ্য দুরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
উৎসঃ ফেইসবুক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন