বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। শনিবার মধ্য রাতে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে দলের অসুস্থ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীকে দেখতে যাওয়ার সময় পুলিশ তার গাড়ি আটকে দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব গণমাধ্যমেও।
আলজাজিরা বলেছে, বাংলাদেশের পুলিশ রাজধানী ঢাকায় রবিবার থেকে সব ধরনের বিক্ষোভ-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সেইসঙ্গে দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। নির্বাচন বয়কটের বর্ষপূর্তির একদিন আগে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি খালেদা জিয়ার বিশেষ মুখপাত্র শিমুল বিশ্বাসের বরাত দিয়ে বলেছে, ‘পুলিশ খালেদা জিয়াকে তার অফিসে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এছাড়া অফিস সংলগ্ন এলাকা ঘেরাও করে রেখেছে এবং পার্শ্ববর্তী রাস্তা-ঘাট বেরিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
দ্য সানডে টাইমস বলেছে, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে পুলিশ রবিবার তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেছে। দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, দলটির নির্বাচন বর্জনের বর্ষপূর্তির ঠিক আগে তাকে অবরুদ্ধ করা হলো। সোমবার ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ শিরোনামের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল তার।
ওয়ার্ল্ডবুলেটিন নামের তুরস্কভিত্তিক একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করেছে পুলিশ। নির্বাচন বর্জনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সোমবার এক সমাবেশে তার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।
গাল্ফ টাইমস বলেছে, বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে দেশটির পুলিশ। সেইসঙ্গে রাজধানী ঢাকায় রবিবার থেকে সব ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এছাড়া ডেইলি মেইল, সিনহুয়াসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে বাংলাদেশের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ও খালেদা জিয়ার খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন