ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৫

গণবিপ্লবের পথে বাংলাদেশ ড. এম মুজিবুর রহমান

গণবিপ্লবের পথে বাংলাদেশ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের ভোটের অধিকারের সংগ্রামে আবারো ইতিহাসের কিংবদন্তির পথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ইতিহাস সাক্ষী তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে ধুলোয় মিশিয়ে ১৯৭০ সালে অখণ্ড পাকিস্তানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ মুজিবুর রহমান ইয়াহিয়া খানের এলএফও এর অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনগণের সমাবেশ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের কাছে উল্টো চার দফা দাবি পেশ করেন। এমনকি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে স্বেচ্ছায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে শেখ মুজিবুর রহমান আত্মসমর্পণ করেন। দিক নির্দেশনাহীন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বহীন জাতিকে অস্ত্রহাতে 'উই রিভোল্ট' বলে সাময়িকভাবে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে অফিসিয়াল স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান।
শুরু হয় সিপাহী ও সর্বস্তরের জনতা মিলে মুক্তির যুদ্ধ। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পরে আবারো যখন একদলীয় বাকশাল কায়েম করে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেয়া হয় এবং দেশে যখন এক নেতার নামে পারিবারিক শাসন কায়েম করার নীল নকশা বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছিল তখন আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হবার পরে আবারো কায়েমী স্বার্থবাদীরা বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে টিকিয়ে রাখতে ১৯৭১ এর মত ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
সিপাহী জনতার বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে প্রতিষ্ঠিত করেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। মানুষ ফিরে পায় তার কথা বলার স্বাধীনতা। শেখ মুজিব কর্তৃক বিলুপ্ত আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশে আবারো রাজনীতি করার সুযোগ পায় আর ভারত থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। দেশ এগিয়ে চলে উন্নয়নের দিকে। স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে এক অপার সম্ভাবনার দেশে পরিণত হতে থাকে। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনসহ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন শহীদ জিয়া। আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে মুসলিম জাহানের কাছে হয়ে উঠেন এক দূরদর্শী আর ভিশনারি নেতা হিসেবে। ঠিক এমনি এক মুহূর্তে সম্প্রসারণবাদ ও তাদের এদেশীয় দালালদের চক্রান্তে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় দেশের সর্বকালের জনপ্রিয় এ নেতাকে।
বর্তমান আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা দেশে ফেরার মাত্র ১৭ দিনের মাথায় এ হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়। গণতন্ত্র আবারো হোঁচট খায় কিন্তু শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত উন্নয়ন আর রাজনৈতিক ভিশন বাস্তবায়নের কঠিন দায়িত্ব এসে পড়ে তারই সুযোগ্য সহধর্মিনী বেগম জিয়ার উপর। ৯টি বৎসর আপোসহীন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে হটিয়ে দেশে আবারো গণতন্ত্রের ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়াকে আপোসহীন দেশনেত্রী খেতাবে ভূষিত করে। সম্প্রসারণবাদ ও তাদের এ দেশীয় দালালরা চক্রান্ত বন্ধ করেনি। আর তাইতো এদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বার বার হোঁচট খেতে হয়। সে সময়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের সঙ্গে আঁতাত করে জাতীয় বেঈমান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সম্প্রসারণবাদের মদদপুষ্ট এদেশীয় এজেন্টদের সহায়তায় তৎকালীন রাষ্ট্রীয় শক্তি ও কংগ্রেসীয় নীল নকশায় ২০০৮ সালে ক্ষমতা তুলে দেয়া হয় তাদেরই একান্ত তাবেদার গণস্বার্থ বিরোধী ও জাতিকে বিভাজনকারী দল আওয়ামী লীগের হাতে। এ সময় অত্যন্ত সুকৌশলে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী দেশপ্রেমিক শক্তিকে নির্লজ্জভাবে পরাজিত দেখানো হয়। এর পরে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পিলখানায় হত্যাকাণ্ড এবং প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণের ডকট্রিন পরিবর্তন একই সূত্রে গাথা। যা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় অস্তিত্বকে হুমকির সম্মুখীন করেছে।
চানক্যবাদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে দেশনেত্রী বেগম জিয়া আবেগধর্মী ও দেশের স্বার্থ বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করে বিক্ষুব্ধ জাতিকে সুচিন্তিতভাবে নেতৃত্ব দিতে থাকেন। যে কারণে সম্প্রসারণবাদের উপর্যুপরি উস্কানি সত্ত্বেও তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছেন। যার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হচ্ছে বেগম জিয়া কর্তৃক ৭ দফা প্রস্তাবনা। সম্প্রসারণবাদের স্বার্থ রক্ষাকারী দেশের স্বার্থবিরোধী অবৈধ ক্ষমতাসীনদের হঠকারী কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত গণঅসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাইতো অবৈধ ক্ষমতাসীনরা জনমানুষের সামান্য জমায়েতকেও তাদের প্রতি হুমকি হিসেবে মনে করছে।
দুনিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাটলে আমরা দেখতে পাই সকল ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হয়েছে সশস্ত্র বিপ্লব বা রক্তপাতের মাধ্যমে। পৃথিবীর খুব কম দেশেই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে তার একটি। এ মুহূর্তে প্রয়োজন আরেকটি গণবিপ্লব। গণঅভ্যুত্থানই রক্ষা করবে সম্প্রসারণবাদের কবলে জিম্মী জাতিকে এবং মুক্ত করবে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন সকল মানুষের ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ফিরে পাবে তাদের ভোটের অধিকার, দেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র আর আইনের শাসন।
লেখক : সাবেক সহকারী অধ্যাপক, শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন