কোনভাবেই জনযুদ্ধে পরিনত হওয়া এই গণ আন্দোলনকে ধংস করা যাবে না। বর্তমানে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার এই আন্দোলনকে ধংস করতে ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদের যে আগ্রাসী আয়োজন তারই শিখন্ডি হিসেবে কাজ করছে ৬ পাহাড়ের দালাল আওয়ামী লীগ ও এর প্রধান মিসেস হাসিনা মিয়া গং। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম নিষ্ঠুর স্যাডিস্ট নারী শাসক হিসেবে হাসিনার ফাসি বাংলাদেশী জাতিকে কলংক থেকে রক্ষা করবে; নইলে ইতিহাস আবার ভিন্নরূপে লেখা হবে। তাবলিগী ইজতেমা বা অন্যকোন কারণেই সংগ্রাম থেকে বিরত হওয়া যাবে না।
লিবারেল পার্টি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ নির্বাসন থেকে এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন। উল্লেখ্য নির্বাসনকালে তিনি শেখনিউজ ডট কম'র প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আজ ৫ জানুয়ারী 'র' এর নীলনকশায় ভারতীয় আগ্রাসনের বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য হাসিনা গংদের নির্বাচন নামের ভন্ডামীর বর্ষপূর্তিতে শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ এই বিবৃতি প্রদান করেন।
শেখ মহিউদ্দিন বলেন, আজকের আন্দোলন জনযুদ্ধে পরিনত হয়েছে। এটি আর শুধুমাত্র নির্বাচনের সুযোগ লাভের আন্দোলন নয়। জাতিগোষ্ঠী হিসেবে বাংলাদেশীদের অস্তিত্ব রক্ষা এবং সিস্টেম পরিবর্তনের লড়াই। লড়াইয়ের এই চরিত্র শুধুমাত্র ক্ষমতার চেয়ার পরিবর্তনে রুপান্তরিত হলে নিপীড়িত জনতার পরাজয় ঘটবে।আর ভিন্ন আঙ্গিকে জয়লাভ হবে নেহেরু ডকট্রিনের তথা ভারতীয় আগ্রাসী আর্যবাদীদের।
তিনি বলেন, যে সকল মহান বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিকদের হাতে এই দেশ গড়ে উঠেছে সেই স্বাধীনতার দলিল প্রণয়নকারী সিরাজ সিকদার, স্বাধীনতার রাজনৈতিক ঘোষণা দানকারী মওলানা ভাসানী এবং স্বাধীনতার অফিসিয়াল যুদ্ধ ঘোষণাকারী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং ১৫ আগস্টের বিপ্লবীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে ভারতীয় উপনিবেশে পরিনত হওয়া এই দেশের পুরো সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে। সেই জন্য জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের পরিবর্তিত রূপটি সফল করতে হবে। ভারতীয় উপনিবেশ থেকে দেশকে মুক্ত করতে চলমান আন্দোলনে সফল হতে হবে। সেজন্য যে কোন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত হতে হবে।
চলমান আন্দোলনের সকল যোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার উপর গুরুত্বারোপ করে শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ থেকে বেরিয়ে না আসলে যুদ্ধে জয়লাভ অসম্ভব আর অনৈক্য সৃষ্টিকারীকেই এর দায় নিতে হবে। সংগ্রামের আগামী দিনগুলোতে দেশের প্রতিটি কর্নারে আওয়ামী দালাল এবং তাদের শিখন্ডি পুলিশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তাদের বাড়ি বাড়ি পৌছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল পার্টির প্রধান।
তিনি সংগ্রামের সমাপ্তি হওয়া পর্যন্ত তাবলিগী ইজতেমা বন্ধ রাখার আহ্বান জানান এবং সকল মুসল্লিদের ঢাকায় না আসার জন্য অনুরোধ করে বলেন, মানুষ না বাচলে ইজতেমা মূল্যহীন। তিনি ঢাকার সাথে সকল যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ীদের ধংস করে দিতে এবং আওয়ামী লীগের সকল স্বার্থে আঘাত হানার জন্য সকল গোপন বিপ্লবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন