শেখনিউজ রিপোর্ট: সারাদেশে হাসিনার অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বেগবান হয়েছে। অবৈধ মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতা ও পুলিশ জনগনের রোষানলে পড়েছে, বহুস্থানে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস। চাপাইনবাবগঞ্জে থানায় আক্রমণ করেছে মুক্তিকামী জনতা। বহু নেতা ট্রাভেল এজেন্সিতে ধরনা দিচ্ছেন উচ্চ মূল্যে টিকেট কিনতে। জেলা উপজেলায় আওয়ামী নেতাদের ঘরে হামলা শুরুর পরিকল্পনা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে মিসেস হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশ ত্যাগ এবং যারা বাইরে আছে তাদের আপাতত দেশে ফেরত না আসতে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কমপক্ষে ৩৭টি স্থানে আওয়ামী লীগের অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের গ্রামের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকায় যুবলীগের চেয়ারম্যান হাসিনার আত্মীয় ওমর ফারুকের বাসায় বোমা হামলা হয়েছে। পুলিশের এক এআইজিকে জনতা ধাওয়া দিলে সে ফাকা গুলি করে পালিয়ে যায়।
যে সকল পুলিশ ও র্যাবের অফিসার ও সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে গুম ও ক্রস ফায়ারের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে, যেকোন সময় তাদের উপরে চূড়ান্ত আঘাত হানা হবে বলে জানা গেছে। গোপন বিপ্লবী সংগঠনগুলো চালাতে এ হামলার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে আন্ডারগ্রাউন্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে। সেই সাথে জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতের নিরস্ত্র প্রান্তিক কর্মীদের যারা হত্যা করেছে তাদেরকেও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। র্যাবের কর্নেল জিয়া ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে বলে তার পারিবারিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
এদিকে জানা গেছে বিক্ষুব্ধ জনতার কয়েক শত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টিম বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার আওয়ামী নেতাদের ঘরে ঘরে হামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ খবরে আওয়ামী মহলে আতংক শুরু হয়েছে কারণ এত নেতাদের নিরাপত্তা দেয়ার মত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা সম্ভব নয়।
আওয়ামী সূত্র জানিয়েছে অনেক মানসিকভাবে দুর্বল আওয়ামী নেতারা ইতিমধ্যেই ভারতসহ অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। ট্রাভেল এজেন্সীগুলোতে বিমান ও অন্যান্য এয়ার লাইন্সে টিকেট কেনার ধুম পরেছে।
বেগম খালেদা জিয়া যেকোন পরিস্থিতিতে এ আন্দোলনকে সফল করার জন্য আপামর জনগনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। লন্ডনে তারেক রহমানও বলেছেন কারো কোথায় বিভ্রান্ত না হয়ে আন্দোলনকে সফল না করে হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত তৃনমূলের সকল নেতা কর্মীকে ঘরে না ফিরতে আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপির তৃনমূল কর্মীরা আন্দোলনমুখী থাকলেও মাঠে নেতৃত্বের অভাব দেখা দেয়ায় এক কেন্দ্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে খালেদা জিয়া নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর ও শিবিরের নেতা কর্মীরা পূর্ব থেকেই আন্দোলনের মাঠে সরব উপস্থিতি প্রমান করছে। তারা যে কোন ত্যাগ স্বীকারে কারান্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বাংলাদেশের সকল মিডিয়াকে সরকার ও গোয়েন্দা বিভাগ থেকে কড়া মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ করছে। যে কোন সময় ফেসবুক ও ইউটিউব বন্ধ করে দিতে পারে সরকার। রাষ্ট্রের টিএন্ডটি ও আইটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোতে আগে থেকেই 'র' এর অফিসাররা কাজ করছে সশরীরে। এটিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত করে রাখা হয়েছে।
সেই সাথে প্রবাসে দেশপ্রেমিকদের একটি গ্রুপ প্রয়োজনে প্রবাসী সরকার গঠনের প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত করে রাখছে। এমনকি আন্দোলনকে ব্যর্থ করা হলে ষড়যন্ত্রকারীদের নির্মূল করতে সেই সরকার সকল পদক্ষেপ নিতে বিপ্লবীদের সংগঠিত করছে বলে জানা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন