ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৫

শেখ হাসিনা গণতন্ত্র নিয়ে ‘খামখেয়ালি’ করছেন : যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশ বার্তা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র নিয়ে ‘খামখেয়ালি’ করছেন বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাজ্য। গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অঙ্গীকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দেশটি।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে জমা দেয়া এক প্রতিবেদনে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ‘পলিটিক্যাল ক্রাইসিস ইন বাংলাদেশ: জানুয়ারি ২০১৫ আপডেট’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদন বুধবার প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ’ উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশিদের মতের প্রতিফলন না হওয়ায় এ নির্বাচনকে মেনে নিতে পশ্চিমা দাতাগোষ্ঠী অস্বীকৃতি জানায়।
পশ্চিমা দাতাগোষ্ঠী রাজনৈতিক সংকট নিরসনে নতুন করে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ এমন ইঙ্গিত দিলেও পরবর্তীতে ২০১৪ সালে সে অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি।
গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরে এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সব পক্ষকেই সংযত হয়ে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্র নিয়ে খামখেয়ালির’ অভিযোগ রয়েছে। তবে গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অঙ্গীকার নিয়েও অনেক বিশ্লেষকের প্রশ্ন রয়েছে।
‘কেউ কেউ মনে করছেন- তিনি (খালেদা) প্রত্যাশা করতে পারেন যে, তার বর্তমান কৌশল সেনাবাহিনীকে আরো একবার হস্তক্ষেপ ও আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের দিকে ঠেলে দিবে। যদিও এখন পর্যন্ত সেরকম ঘটার কোনো লক্ষণ নেই।’
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা এবং এরইমাঝে রাজনৈতিক বিরোধের সুযোগে সামরিক ভূমিকার ইতিহাস তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনী কয়েক দফায় বাংলাদেশের ক্ষমতায় ‘সার্কিট ব্রেকার’ হিসেবে কাজ করে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সব সময় একটি রাজনৈতিক ভূমিকা রেখে এসেছে; সাধারণভাবে যা আওয়ামী লীগের প্রতি বৈরী।
‘দুই বছর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তিন চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হলে অনেকে আশা করেছিলেন বাংলাদেশ অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে বেরোতে পারবে। তবে দুই বেগম হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার বিবাদের কারণে সেই সুযোগ ভেস্তে গেছে।’
এছাড়া আন্তর্জাতিক যুদ্ধপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘বিতর্কিত দেশীয়’ ট্রাইব্যুনাল আখ্যা দিয়ে এর আন্তর্জাতিক মান নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এই প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
পাশপাশি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা এবং নিষেধাজ্ঞার আগেই তার বক্তব্য প্রচার করায় একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি এতে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করা হয়েছে। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও সামাজিক উন্নয়নেও ভালো অগ্রগতি হয়েছে।
উৎসঃ   আরটিএনএন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন