ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৫

প্রথম দিনে অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন সরকার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে : রফিকুল ইসলাম খান


৫ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের কর্মসূচিতে বাধাদানের প্রতিবাদ, অবিলম্বে গণবিচ্ছিন্ন ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীতে অবরোধকারীদের উপর পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হামলা, লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল-রাবার বুলেট নিক্ষেপ, নির্বিচারে গুলীবর্ষণ ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ, গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি ও সরকারের জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করায় সর্বস্তরের নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন #জামায়াতেইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, সরকার ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন ও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এখন জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। ইতিহাসের এই নজিরবিহীন নির্বাচনে কোনো গণসম্পৃক্ততা ছিল না। ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে জনগণ কথিত এই নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। শুধুমাত্র রাজধানীর ২৯টি কেন্দ্রে কোন ভোটারই ভোট প্রদান করেনি। কিন্তু সরকারের আজ্ঞাবহ ও সেবাদাস নির্বাচন কমিশনের সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে ভোট ডাকাতির বিষয়টি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তিনি অবিলম্বে এই কলঙ্কিত নির্বাচন বাতিল, অবৈধ ও গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবসে ২০ দলীয় জোট কর্মসূচি ঘোষণা করলে গণবিরোধী ও ফ্যাসিবাদী সরকার সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে হামলা, টিয়ারসেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ, গুলী বর্ষণ ও গণগ্রেফতার চালায়। ২০ দলীয় জোট নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অমানবিকভাবে কয়েক দিন যাবৎ গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পুলিশ জাতীয় প্রেসক্লাবের পবিত্র অঙ্গন থেকে বিএনািপ’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের কারণে একুশে টিভির চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলা দেয়া হয়েছে। যা সরকারের বাকশালী ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। তিনি সরকারকে জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহার করে ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবরোধ প্রত্যাহার, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও একুশে টিভির চেয়ারম্যানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখী হতে হবে বলে সতর্ক করে দেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের জুলুম-নির্যাতন মোকাবিলায় জনতার প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। কিন্তু সরকার জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। রাজধানীর বাড্ডায় জনতা শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথ অবরোধ করলে পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা যুগপৎ হামলা চালায়। এতে ৫ জন আহত ও পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ রাজধানীর রায়েরবাগেও অবরোধকারীদের উপর হামলা চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু সচেতন জনগণ সরকারের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে রাজধানী ঢাকায় অবরোধ কর্মসূচির ১ম দিন সর্বাত্মকভাবে সফল করেছে। তিনি জনতার শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে বাধাদান, হামলা, গুলীবর্ষণ ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ, গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং অবরোধ কর্মসূচির ১ম দিন সর্বত্মকভাবে সফল করায় নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন এবং পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রাখতে সকল পেশা ও শ্রেণীর মানুষসহ সর্বস্তরের নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন