ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৫

হাস্যকর অভিযোগ ও একুশে টিভি হত্যা... আবু সালেহ ইয়াহ্ইয়া

দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি ও আমার দেশ পত্রিকার ভাগ্য বরণ করলো একুশে টিভি। হাসিনা ও ইনুর মিডিয়া হত্যা প্রকল্পের এবারের টার্গেট এই জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলটি। আগের ৩ টির ক্ষেত্রে জঙ্গিবাদে উস্কানি দেয়ার কল্পিত অভিযোগ আনলেও প্রগতিশীলদের মিডিয়া হিসেবে পরিচিত একুশের ক্ষেত্রে আনা হয়েছে হাস্যকর পর্ণোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগ। বাকশালী ও স্বৈরাচারীরা যে কারণে জনমতকে তোয়াক্কা করেনা, ঠিক একই কারণেই মিডিয়াকেও সহ্য করতে পারে না। ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন দেশের চারটি দৈনিক ছাড়া আর সব সংবাদপত্র নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল হাসিনার বাবা শেখ মুজিব। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ইংরেজি স্পোকসম্যান, হক কথা, লাল পতাকা, গণকণ্ঠ, স্বাধিকার, স্বাধীনতা, নয়াযুগ, দেশবাংলা প্রভৃতি। সুতরাং মিডিয়া হত্যা করে হাজার হাজার সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের পেটে লাথি মারা শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্য। একুশের চোখের যে অনুষ্ঠানটি প্রচারের জন্য পর্ণোগ্রাফির অভিযোগ আনা হয়েছে তা আমি দেখেছি। আসলে সেখানে পর্ণোগ্রাফির কিছুই নেই, আছে একজন বিবাহিত চরিত্রহীনা মহিলার অসামাজিক কাজের কিছু বিবরণ এবং তার কারণে একটি সুখী পরিবারে নেমে আসা সীমাহীন কষ্ট ও ভয়াবহ যন্ত্রনার কথা। ক্যান্টনমেন্ট থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ মদদে এমন আকাম করে যাচ্ছিল মহিলাটি। মূলত ঐ পুলিশ কর্মকর্তার অবৈধ কর্মকান্ড প্রকাশ হওয়ায় একুশের চোখ প্রোগামটিকে টার্গেট করা হয় অনেক আগেই। একুশে টিভিকে আরো আগেই বন্ধ করতে চাচ্ছিল ইবলিসের প্রেতাত্মা ইনু। যুতসই অজুহাতের অভাবে এতদিন চিঠি দেয়া, ফোনে হুমকি দেয়া ও নানা উপায়ে সরকারী বাধা প্রদানের মধ্যেই তা সীমিত ছিল। অবশেষে বাংলার মানুষের বাকস্বাধীনতাকে টুঁটিচেপে হত্যা করতে শকুনের হিংস্র থাবায় জর্জরিত হলো একুশের দেহ। আবারও বেকার হলেন শত শত সাংবাদিক। তাদের পরিবার পরিজন ও শিশু সন্তানদের ভাগ্যাকাশে নেমে এলো আষাঢ়ের ঘন কালো মেঘ। তাদের জন্য আপাতত কেবলই সমবেদনা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন