নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জ উপজেলার ছোনাব
এলাকায়
বোমা বানাতে গিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের
৪ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। এর
মধ্যে রকমতউল্লাহ নামের এক
কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার
পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকায়
বোমা বানাতে গিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের
৪ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। এর
মধ্যে রকমতউল্লাহ নামের এক
কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার
পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া আহত ছাত্রলীগকর্মী শাহীন মিয়া, কবির
ও রাসেলকে রূপগঞ্জের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা
দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দিনগত গভীর রাতে ছাত্রলীগ নেতা শাহীন মিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ঝুট
গোডাউনে এ ঘটনা ঘটে।
ও রাসেলকে রূপগঞ্জের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা
দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দিনগত গভীর রাতে ছাত্রলীগ নেতা শাহীন মিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ঝুট
গোডাউনে এ ঘটনা ঘটে।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের দাবি, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের কেউই
আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। আহতদের ছাত্রদলের কর্মী বলে দাবি করেন
তারা।
আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। আহতদের ছাত্রদলের কর্মী বলে দাবি করেন
তারা।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুরুতর আহত ছাত্রলীগকর্মী রকমতউল্লাহ (২৭) রূপগঞ্জ উপজেলার
ছোনাব এলাকার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে।
ছোনাব এলাকার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী শাহীন মিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন
একটি ঝুটের গোডাউনে বোমা বানানোর কাজ চলছিল। বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে বিস্ফোরণের
বিকট শব্দ শুনতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে
জানতে পারেন, সেখানে বোমা বানানোর সময় রকমতউল্লাহ, শাহীন মিয়া, কবিরসহ ৪ জন গুরুতর
আহত হয়েছে। পরে রকমতউল্লাহকে উদ্ধার করে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার
পর থেকেই আহতদের পরিবারের লোকজন এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে।
একটি ঝুটের গোডাউনে বোমা বানানোর কাজ চলছিল। বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে বিস্ফোরণের
বিকট শব্দ শুনতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে
জানতে পারেন, সেখানে বোমা বানানোর সময় রকমতউল্লাহ, শাহীন মিয়া, কবিরসহ ৪ জন গুরুতর
আহত হয়েছে। পরে রকমতউল্লাহকে উদ্ধার করে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার
পর থেকেই আহতদের পরিবারের লোকজন এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সজিবের সঙ্গে মুঠোফোনে
যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। ওরা ছাত্রদলের
নেতা। কোনোদিন ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো মিটিং-মিছিলে তাকে দেখিনি।’
যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। ওরা ছাত্রদলের
নেতা। কোনোদিন ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো মিটিং-মিছিলে তাকে দেখিনি।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন ভূইয়া বাংলামেইলকে বলেন,
‘ওরা ছাত্রলীগের কর্মী নয়। কাগজপত্রে ওদের নাম নেই।’
‘ওরা ছাত্রলীগের কর্মী নয়। কাগজপত্রে ওদের নাম নেই।’
অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও থানা বিএনপির সভাপতি
কাজী মনিরুজ্জামান মনির বাংলামেইলকে বলেন, ‘এ ঘটনা প্রমাণ করেছে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী বানানোর অপচেষ্টা করছে।
জনগণ একদিন আওয়ামী লীগকে সমুচিত জবাব দিবে ।’
কাজী মনিরুজ্জামান মনির বাংলামেইলকে বলেন, ‘এ ঘটনা প্রমাণ করেছে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী বানানোর অপচেষ্টা করছে।
জনগণ একদিন আওয়ামী লীগকে সমুচিত জবাব দিবে ।’
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন,
‘বোমা বানাতে গিয়ে মাদরাসা ছাত্রসহ ৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে রকমতউল্লাহ নামে
একজনকে গুরুতর অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জেনেছি।’
‘বোমা বানাতে গিয়ে মাদরাসা ছাত্রসহ ৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে রকমতউল্লাহ নামে
একজনকে গুরুতর অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জেনেছি।’
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাজ্জাদুর রহমান বাংলামেইলকে
জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যান্ত আহতদের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। গুরুতর আহত যুবককে
পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যান্ত আহতদের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। গুরুতর আহত যুবককে
পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উৎসঃ বাংলামেইল২৪ডটকম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন