ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

জিয়াউর রহমানের সততার তো তুলনাই হয় না- - প্রেস সচিব কাফি খান

জিয়াউর রহমানের সততার তো তুলনাই হয়
না। তিনি যে বেতন পেতেন, তা আর
কত? তিন চার হাজার টাকার মতো।
আমি নিজে তার বেতনের কাগজ
দেখেছি। সেখান থেকে ১৫০
টাকা রাষ্ট্রপতির রিলিফ
ফান্ডে জমা দিতেন।
বাকি টাকাটা দিয়ে সংসার
চালাতেন। জিয়া খুব পরিমিত খাবার
খেতেন। তার বাড়ির
হাঁড়িতে অতি সাধারণ খাবার হতো।
একটা তরকারি, একটা ডাল, একটা সবজি।
মন্ত্রীদের দেখেছি তার বাসায়
খেতে বললে রাজি হতো না। কারণ
এতটুকু খেয়ে তো তাদের পোষাবে না।
রাষ্ট্রপতি জিয়া বলতেন, এর
বেশি তো এফোর্ট করতে পারি না।
ঢাকার
বাইরে গেলে ডিসিরা খাবারের
আয়োজন করত। সেখানেও কড়া নির্দেশ
ছিল—একটা ভাজি, একটা ডাল,
একটা মাছ বা মাংস। এর বেশি খাবার
করা যাবে না।
জিয়া মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন।
খাবারে মিষ্টি থাকলে খুশি হতেন।
না থাকলে আপত্তি করতেন না। তার
সততার আরেকটি দৃষ্টান্ত শুনুন। তার
ছেলে আরাফাত রহমান
কোকো ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল
স্কুলে পড়ত। ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল
আমার পরিচিত। তার কাছে শুনেছি,
কোকো তার কাছে পড়তে আসত। তার
পায়ে ছিল ছেঁড়া জুতো। একদিন
প্রিন্সিপাল কোকোকে বললেন, ওই
ছেঁড়া জুতো বদলাচ্ছো না কেন?
কোকোর উত্তর—বাবাকে বলেছিলাম,
তিনি বলেছেন কয়েকদিন
পরে কিনে দেবেন। একজন
রাষ্ট্রপতি তার ছেলের এক
জোড়া জুতো কিনতেও হিমশিম
খাচ্ছেন। একটা পুরনো হাতঘড়ি ছিল
তার। ঘড়িটি খুব দামিও ছিল না।
অনেকে বলত, ওটা স্যার অনেক
পুরনো হয়ে গেছে। ওটা বাদ
দিয়ে একটা ভালো ঘড়ি কিনুন। কারণ
ওটা আর আপনার হাতে মানায় না।
জিয়া শুনে শুধু মুচকি হাসতেন। একবার এক
জনসভায় ভাষণ দিতে যাবার
পথে দর্শকদের ভিড় ঠেলে তাদের
সঙ্গে হাত মেলাতে মেলাতে এগুনোর
সময় অথবা জনসভায় ভাষণ দিয়ে ফেরার
পথেও হতে পারে—ঠিক মনে নেই আমার,
ঘড়িটা জিয়ার হাত
থেকে খুলে পড়ে যায়
অথবা খোয়া যায়। সে জন্য তার
যে কি আফসোস—ঘড়িটার শোক
তিনি অনেক দিন ভুলতে পারেননি।
বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরকালে প্রাপ্ত সব
উপঢৌকন বা উপহার
সামগ্রী তিনি রাষ্ট্রীয়
সম্পত্তি বলে গণ্য করতেন। সেসব
তিনি বঙ্গভবনে তোষাখানায়
পাঠিয়ে দিতেন। এমনকি তার
সহধর্মিণী বেগম
খালেদা জিয়া যে অল্প কয়েকবার
তার সফরসঙ্গী হন, তিনিও যেসব উপহার
সামগ্রী পেয়েছেন, তা ব্যবহার
করতে পারেননি। তোষাখানায়
জমা দিতে হয়েছে। এই লোকটাকে সৎ
বলবো না তো কাকে বলবো?
-- প্রেস সচিব কাফি খান --

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন