স্বৈরাচারী সরকারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ধৈর্য ও সাহসের সাথে মোকাবেলা করে ২০ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করে জালেম সরকারের পতন ঘটানোর জন্য আহ্বান জানান।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন দেশের সাড়ে ১৬ কোটি জনগণ জালেম সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছে। জনগণের আন্দোলনের তোড়ে দিশেহারা স্বৈরাচারী সরকার আন্দোলন দমনের জন্য নির্বিচারে ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করছে। দেশের কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার প্রায় চারগুণ লোককে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন জেলায় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধসহ নেতা-কর্মীদের স্ত্রী, কন্যা, পুত্র ও আত্মীয়-স্বজনদের আটক করছে। নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাট করছে। নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। তারা সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার দলীয় ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারী বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ বাড়িতে বোমা বানানোর সময় বোমা বিস্ফোরিত হয়ে তার ডান হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এ ঘটনার দ্বারা আরো একবার প্রমাণিত হলো যে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই হলো সন্ত্রাসের আসল নায়ক। তারাই সারাদেশে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে দেশকে রাজনীতি শূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী তা-ব ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য আমি দেশের সংগ্রামী জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজও সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানী ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোটের প্রায় ৩ শত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আছেন পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব আবদুল হাকিম, সাংগঠনিক সেক্রেটারী জনাব এমদাদুল্লাহ খান, পঞ্চগড় শহর শাখা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জনাব আনোয়ারুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু সাঈদ, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা জামায়তের নায়েবে আমীর জনাব আবদুল মান্নানের ছেলে ওমর ফারুক প্রমুখ।
এভাবে গ্রেফতার করে মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন।
সরকারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী তান্ডব ধৈর্য ও সাহসের সাথে মোকাবেলা করে ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সামনে এগিয়ে নিয়ে জালেম সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী আদায় করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন