ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

পেট্রোল বোম্ব এখন সরকারের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার, এই অস্ত্র ব্যাবহার করে সরকার সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে- সাজু


পেট্রোল বম্ব নামক সস্তা কিন্তু বীভৎস মানব হত্যাকারী অস্ত্র নিক্ষেপকারী সেই চরিত্রটি কে? দেখতে কেমন? কেমন তার রুপ? সেকি মানুষ না অন্যকিছু? সেকি এদেশের মানুষ? বাংলায় কথা বলে? যখন পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া মানুষের ছবি কিংবা ভিডিও দেখে সে টিভিতে অথবা অন্য কোনও মাধ্যমে তখন তার কেমন অনুভুতি হয়? যখন অর্ধ পোড়া নারী, শিশু আর মানুষদের বিকট যন্ত্রনাময় চিৎকার শোনে সে, তখন তার মনে কি খেলতে থাকে? এরা কারা? কেন এরা অসহায় গরীব মানুষের এইরকম যন্ত্রনা দেখে আনন্দ পায়? তার কি বাড়িঘর, স্ত্রী-পুত্র কন্যা আছে? তাঁদের সাথে কি সে একসাথে বসে খাবার খায়? আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয় সেই মানুষটিকে।
তার সফল অপারেশনের পর সে যায় কোথায়? ঘরে ফিরে যায়? মা আছে তার? তার কাজটি শেষ করবার পর সে কার সাথে কথা বলে? সে কার কথায় মুভ করে? তার মোটিভ কি? সেকি জানে কার জন্য সে এরকম নিষ্ঠুর কাজ করছে? কারা তাকে অর্থের যোগান দিচ্ছে? কার জন্য সে সুবিধে করে দিচ্ছে? এই সুবিধা করে দিতে গিয়ে এভাবে কেমন করে জীবন্ত দগ্ধ করতে পারে সে মানুষদের? দেখা যাচ্ছে কেউ জানতে চাইছেনা সেই মানুষটি কে। সবাই তার কাজ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। সে থেকে যাচ্ছে আড়ালে।
কেন সাংবাদিক কিংবা পুলিশেরা সেই মানুষটির পাত্তা লাগাতে পারছেনা কিংবা চাইছেনা। কেন কথার তুবড়ি ছুটিয়ে তাকে বাঁচিয়ে দেবার পায়তারা? যারা তাকে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে একদিন তারা তাকে পুরষ্কার প্রদান করবে এসব কাজের জন্য নাকি নিজেকে সেইফ করতে গিয়ে হত্যা করা হবে পেট্রোল বোম্ব নিক্ষেপকারীটিকে? আমি জানতে চাই।
এই পেট্রোল বোম্ব এখন সরকারের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। এই অস্ত্র ব্যাবহার করে সরকার সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে। একদম ক্লিয়ার। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এর চাইতে বেশি কার্যকর কিছু নেই। জনগনের ঘৃণার দৃষ্টি যেন প্রতিপক্ষের দিকে যায় সেজন্যই এই ভয়ংকর নিষ্ঠুর পন্থা অবলম্বন করছে সরকার। সকলেই জানেন এই পেট্রোল বোম্ব নিক্ষেপকারীদের জনগণ ঘৃণা করবে। আর তাই সরকার বিএনপি জামায়াতকে কোণঠাসা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ পোড়াচ্ছে। এই জঘন্য চাল থেকে বেরিয়ে আসুন।
এর ফল অত্যন্ত খারাপ হবে বলে দিচ্ছি। বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে এই জঘন্য মানুষেরা সরকারের পাহারায় আগুণ দিচ্ছে। পুলিশ আগুণ নেভাচ্ছেনা। এতে করে কি বোঝা যাচ্ছে? মানুষের চোখে ধুল ঝাড়া বন্ধ করুন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে এরকম বর্বরতা করবেন না দয়া করে। আমরা আপনাদের কোনও ক্ষতি করিনি। আমাদের রেহাই দিন। নির্বাচন দিন দ্রুত। এদেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবেনা কোনোদিন। মৃত মানুষগুলোর আত্মা চিরকাল আপনাকে তাড়িয়ে বেরাবে। একদিনতো আপনাকে মরতে হবে। নাকি মরবেননা আপনি?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন