ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

তিন বছর বয়সেই কোরআনের হাফেজ!

প্রতিদিন হাজার হাজার মাসুম বাচ্চা কোরআন শরিফের হাফেজ হচ্ছে। গোটা দুনিয়ার মুদ্রিত সব কোরআন একসঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে দিলেও লাখো হাফেজের কণ্ঠ থেকে অবিকৃত কোরআন শরিফের সুরেলা আওয়াজে মুখরিত হবে তামাম দুনিয়া। সত্যিই এটা এক বিরল বিষয়। এ ধরনের নজির অন্য কোনো গ্রন্থের ক্ষেত্রে কল্পনাও করা যায় না।
আল্লাহতায়ালা কর্তৃক কোরআন সংরক্ষণের এ ব্যবস্থাপনার নজির বিশ্ববাসী প্রায়ই দেখে। তেমনি এক অনন্য উদাহরণ আজারবাইজানের তিন বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’। এই বয়সেই সে পবিত্র কোরআনে কারিমে ৩৭টি সূরা মুখস্থ করে সেদেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসবাসরত কনিষ্ঠ এই কোরআনের হাফেজ সম্পর্কে তার মা বলেছেন, ‘গর্ভকালীন সময়ে আমি প্রতিনিয়ত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতাম এবং উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত মনোযোগ সহকারে শুনতাম।’ জাহরার মা আরও বলেন, ‘জাহরার জন্মের পর তার ঘুমের সময়ে ঘুমপাড়ানি ছড়ার জায়গায় আমি পবিত্র কোরআনের ছোট ছোট সূরাগুলো পড়তাম। এভাবেই দিন কাটছিল। কিন্তু এক সময় আমি বুঝতে পারলাম, জাহরা মাত্র এক বছর বয়সেই আমার সাথে কোরআনের আয়াতগুলো পুনরাবৃত্তি করছে। আর এর ফলে তার জন্য কোরআনের অন্যান্য আয়াত ও সূরাগুলো আমি পড়তে আমি আগ্রহী হই। এভাবেই তিন বছরের ফুটফুটে মেয়ে জাহরা কোনো শিক্ষকের নিকট প্রশিক্ষণ ছাড়া ৩৭টি সূলা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।’
জাহরার দাদা হাজী হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, ‘জাহরার কোরআন মুখস্থ করার জন্য তার মা’র ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কেননা, জাহরার জন্মের পূর্বে থেকেই তার মা সবসময় কোরআন তেলাওয়াত করত এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দানকৃত জাহরার এ প্রতিভার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, জাহরার জন্মের পর থেকে তার ঘুম পাড়ানোর জন্য কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয়েছে এবং সে খুব মনোযোগ সহকারে শুনতো। এক বছর বয়সে জাহরা একা একাই সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস বলত।
জাহরার দাদা এ সাফল্যকে মহান আল্লাহর দান হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এটা আল্লাহর করুণা যে, এক বছরের শিশু কোরআনের সূরা মুখস্থ করেছে। অথচ তার বয়সের অন্যান্য বাচ্চারা শুধুমাত্র ‘বাবা’ এবং ‘মা’ বলা শেখে। জাহরার বয়স যখন দু’বছর পূর্ণ হয় তখন সে কোরআনের ৮টি সূরা মুখস্থ করে এবং বর্তমানে তার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সে তাজবিদ সহকারে পবিত্র কোরআনের ৩৭টি সূরা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।
উৎসঃ অনলাইন ঢাকা গাইড

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন