ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, শুধু আদর্শিক কারণেই এই হত্যা -ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিম

আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাতে গিয়ে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকেই ব্যবহার করেছে। এই নির্যাতন চালাতে গিয়ে রাষ্ট্রই আজ চলমান আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সম্পর্কে একটি চমৎকার ধারণা লাভ করছে এরি মাঝে। যাদেরকে বলা হচ্ছে বোমাবাজ, নাশকতাকারী সন্ত্রাসী ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সে ছেলেটি কুরআন হাদীস অধ্যয়নকারী, তাহাজ্জুত গুজার, অনৈতিকতা, মাদক,অসত্য থেকে শুধু নিজেই দূরে থাকেনা বরং গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে এই আদলে সাজানোর জন্য রাতদিন অকাতরে নিঃশ্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একদিকে যেমনি মেধাবী অন্যদিকে তাদের পরিবার, সমাজ, শিক্ষাঙ্গনে চরিত্রবান মানুষ হিসেবে খ্যাত কি অদ্ভুত ব্যাপার। আজকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকেরা কি বলতে পারবেন? ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নামে চুরি-ডাকাতির মামলা, নারী নির্যাতন, ফেন্সিডিল কিংবা সমাজবিরোধী কোনো মামলা খুঁজে পেয়েছেন? আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, আপনারা এমন সন্ধান পাবেন না। কিছু মিডিয়া যত ভাবেই তাদেরকে চিত্রিত করুন না কেন। তারা এক আল্লাহ দ্বীন কায়েম ছাড়া অন্য কোনো স্বার্থকে প্রাধান্য দেয় না। তারা এ সমস্ত সমাজ বিরোধী কাজ বন্ধ করতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছে। তাহলে শুধু আদর্শিক কারণেই তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে? তারা সমাজের সকল পর্যায় থেকে অনাচার, জুলুম, নির্যাতন, পাপাচার, জাহিলিয়াত দূর করে গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে ছেঁকে একটি আধুনিক সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জবাবদিহির চেতনার লালন, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা তো দূরে কথা অন্যের অধিকার রক্ষা করা আর হালাল হারামের বিধানকে দারুণভাবে সংরক্ষণ করেন। যে মানুষটির গোটা চরিত্র কর্ম ও তৎপরতা একটি পরিকল্পিত, পরিমার্জিত ও রুচিশীল, আধুনিক সমাজব্যবস্থার নিয়ামক। সে যুবকদের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার অনেকের হৃদয়ে আজ রেখাপাত করছে। এই আধুনিক জাহিলিয়াতের মাঝে এমন মানুষের কল্পনা করা যেখানে দুরূহ, সেখানে এই আন্দোলনের কারখানায় শুধু এমন গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ তৈরি করছে। এই জন্য সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী বলেছিলেন: ”আমরা এই সমাজের মানুষগুলোকে মুসলমান বানাতে বের হয়েছি। কিন্তু এই কাজে আমরা না যতটুকু সফল হয়েছি তার থেকে আমাদের বড় সফলতা হচ্ছে সমাজের সব মানুষ মিলে আমাদেরকে মুসলমান বানিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ বলেন- ‘তোমরা কি মনে করে নিয়েছো, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করে যাবে, অথচ এখনো আল্লাহ দেখেনইনি যে, তোমাদের মধ্য থেকে কে জিহাদে প্রাণ উৎসর্গকারী এবং কে সবরকারী ?’ (৩:১৪২)
হজরত কাতাদা (রা.) বলেন, হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) আমাকে বলেছেন যে, রাসূল (স.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন দাঁড়িপাল্লা লাগানো হবে, সদকা খয়রাত যারা করবে তাদের দানের বিনিময়ে, পুরস্কার দেয়া হবে। নামাজ রোজা হজ্ব ইত্যাদি নেক কাজের বিনিময় দেয়া হবে। এরপর আল্লাহর পথে বিপদ সহ্যকারীদের পালা আসবে। তাদের জন্যে দাঁড়িপাল্লা লাগানোর পরই তাদের নেক আমল ওজন হয়ে যাবে। তাদেরকে বে-হিসাব বিনিময় দেয়া হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পারিশ্রমিক বিনা হিসেবে দেয়া হবে। (সূরা জুমার-১০) দুনিয়ার জীবনে বিপদে-মুসিবতে বিপন্ন অসহায় বান্দারা কেয়ামতের দিন বে-হিসাব পুরস্কার পেতে থাকবেন। এই দৃশ্য দেখে দুনিয়ার জীবনে আরাম-আয়েশে বসবাসকারীরা আক্ষেপ করে বলতে থাকবে, আহা দুনিয়ার জীবনে আমার দেহ যদি কাঁচি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করা হতো তবে আজ আমি অনেক বেশি পুরস্কার লাভ করতাম। অনেক বেশি মর্যাদা স্থায়ীভাবে লাভ করতাম।
দুনিয়াতে ঈমানের পরীক্ষা দিতে গিয়ে যদি দুনিয়ায় প্রাণ বিসর্জিত হয় তাহলে এ এক মহা সফলতা। এমন মৃত্যু গৌরবের। এই মৃত্যুকে অভিনন্দন। হযরত রাশেদ বিন সা’দ জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন, কোনো এক ব্যক্তি রাসূলূল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! কবরে সকল মুমিনের পরীক্ষা হবে, কিন্তু শহীদের হবে না, এর কারণ কী? হুজুর (সা.) জবাবে বলেন, “তার মাথার ওপর তলোয়ার চমকানোই তার পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট।’ হজরত উম্মে হারেসা বিনতে সারাকা থেকে বর্ণিত, “তিনি হুজুর (সা.) এর দরবারে এসে আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি কি হারেসা সম্পর্কে কিছু বলবেন না? জঙ্গে বদরের পূর্বে একটি অজ্ঞাত তীর এসে তাঁর শরীরে বিঁধে যায় এবং তিনি শহীদ হন। যদি তিনি জান্নাতবাসী হয়ে থাকেন তাহলে আমি সবর করবো, অন্যথায় প্রাণ ভরে কাঁদব। হুজুর (সা.) জবাব দিলেন, হারেসার মা, বেহেশতে তো অনেক বেহেশতবাসীই রয়েছেন, তোমার ছেলে তো সেরা ফেরদাউসে রয়েছেন।”
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন (মুতার যুদ্ধে সেনাদল পাঠানোর পর একদিন) রাসূলুল্লাহ (সা.) খুতবা দিতে গিয়ে বললেন, যায়েদ পতাকা ধারণ করল অতঃপর শাহাদাত বরণ করল। তারপর জাফর পতাকা ধারণ করল সেও শহীদ হলো। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা পতাকা ধারণ করল কিন্তু সেও শাহাদাত বরণ করলো। তারপর খালিদ বিন ওয়ালিদকে কেউ নেতা মনোনীত করা ছাড়াই সে পতাকা ধারণ করল। এতে বিজয় লাভ করলো। নবী (সা.) আরো বললেন, তারা শাহাদাতের মর্যাদা লাভ না করে আমাদের মাঝে থাকলে তা আমাদের জন্য এখনকার চেয়ে আনন্দদায়ক হত না। বর্ণনাকারী আইয়ুব বলেন, নবী করীম (সা.) এ কথাগুলো বলার সময় নবীজীর দুচোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। (বুখারী)
আজ সত্যিই, আল্লাহর দ্বীনের মুজাহিদদের ঈমানী দৃঢ়তা দ্বীনের পথিকদেরকে উৎসাহিত করছে প্রতিনিয়ত। শহীদ সাইয়েদ কুতুব, শহীদ হাসান আল বান্না, শহীদ আব্দুল কাদের আওদা, শহীদ আবদুল কাদের মোল্লাসহ জাতীয় সাহসী বীরেরা এখন একই কাতারে দণ্ডায়মান। শাহাদাতের পূর্বে শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ঐতিহাসিক কথাগুলো আজ মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণা- তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহ তায়ালা যাকে শহীদী মৃত্যু দেন সে সৌভাগ্যবান। আমি শহীদী মৃত্যুর অধিকারী হলে তা হবে আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। আমার প্রতিটি রক্তকণিকা ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করবে ও জালেমের ধ্বংস ডেকে আনবে”। এই দৃঢ় চিত্ততা কেবল আল্লাহর উপর ভরসাকারী ঈমানদারগণই দেখাতে পারেন। শহীদের রক্ত আর মজলুমের চোখের পানি বৃথা যাবে না। সকল ত্যাগের বিনিময়ে মানবতার মুক্তি আসবেই ইনশাল্লাহ। কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়- সত্যের তরে দৈত্যের সাথে করে যাও সংগ্রাম/রণ-ক্ষেত্রে মরিলে অমর হইয়া রহিবে নাম। এই আল্লাহ হুকুম-ধরায় নিত্য প্রবল রবে/প্রবলেই যুগে যুগে সম্ভব করেছে অসম্ভবে। উৎসঃ ফেইসবুক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন