ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৫

এ কেমন বিপজ্জনক বাংলাদেশ! ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

বাংলাদেশ বার্তা: বাংলাদেশ এক দুঃস্বপ্নকালে প্রবেশ করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা অনেক দুঃখময় সময় অতিক্রম করেছি। অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন আর স্বৈরশাসন দেখেছি। অবিচার-উৎপীড়নও বিগত বছরগুলোতে কম হয়নি। শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকালে একবার মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে তার সন্তোষের বাসভবনে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছিল। সীমিত সংখ্যায় সাংবাদিক সেখানে যাতায়াত করতে পারতেন। মওলানা ভাসানী ঘর থেকে বের হতে পারতেন না। তার ঘরের সামনে পুলিশ। তার বিবাহিত মেয়ের ঘরের সামনে পুলিশ। গোসলখানার সামনে পুলিশ। মওলানা ভাসানী এর প্রতিবাদে শেখ মুজিবুর রহমানকে এই পুুলিশ প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চিঠি লিখেছিলেন। মওলানা ভাসানীর সে চিঠি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। তখনো সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল মওলানা ভাসানী গ্রেফতার হননি।
এরপর গত ৪০ বছরে এই ঘটনার কোনো দিন আর পুনরাবৃত্তি হয়নি। যার পুনরাবৃত্তি ঘটাল শেখ হাসিনার স্বঘোষিত সরকার। বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন গত ছয় বছরে সরকার এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, সেটি ফ্যাসিবাদে রূপ নিয়েছে। বিরোধী দলের প্রত্যেক নেতার বিরুদ্ধে ডজন ডজন মামলা করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব স্তরের নেতার বিরুদ্ধে। হাজার হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাখ লাখ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে, যেন তারা শুধু দৌড়ের ওপর থাকেন। আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিতে না পারেন। আর আদালতে হাজিরা দিতে দিতেই যেন তাদের সময় চলে যায়। 
কিন্তু গত ৩ জানুয়ারি (২০১৫) শেখ হাসিনার সরকার যা করল, সেটি এই ৪০ বছরে কোনো সামরিক স্বৈরাচারী সরকারও করেনি। তারা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দুইবারের বিরোধী দলের নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় তার অফিসে অবরুদ্ধ করে ফেলে। সে সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। রিজভী অসুস্থবোধ করছিলেন। এ খবর পেয়ে তাকে দেখতে বেগম খালেদা জিয়া রওনা হতে যাচ্ছিলেন নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে। রাত সাড়ে ১১ টায় তিনি যখন তার গুলশানের অফিস থেকে বের হতে গাড়িতে ওঠেন তখন পুলিশ তাকে বাধা দেয়। 
ততক্ষণে তার গতি রোধ করার জন্য এবং স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত করার জন্য এই সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী অনেক দক্ষযজ্ঞ কাণ্ড করে ফেলে। তারা গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কে অবস্থিত খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের চার পাশে শত শত পুলিশ মোতায়েন করে তাকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। ঘণ্টাখানেক গাড়িতে বসে থাকেন খালেদা জিয়া। কিন্তু অফিসের ফটক পেরিয়ে তিনি নয়া পল্টনের কার্যালয়ে আসতে পারেননি। সরকারের তরফ থেকে এমন কিছু জানানো হয়নি যে, তিনি গ্রেফতার বা গৃহবন্দী। কিন্তু সরকারের কর্মকাণ্ডে স্পষ্ট হলো যে তিনি অবরুদ্ধ। নিজ বাসভূমে পরবাসী। 
গত বছর ৫ জানুয়ারি এ দেশে যে বিতর্কিত একদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে আওয়ামী লীগ নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে। ওই নির্বাচনে কার্যত কোনো ভোটার ছিল না। বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না হওয়ায় সে নির্বাচন বর্জন করে। ফলে ১৫৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীই ছিল না। সেসব আসনে আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থক প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। বাকি আসনগুলোতে মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের দাবি। ৪৯ কেন্দ্রে একজন লোকও ভোট দিতে যায়নি। এমনকি কেন্দ্রে উপস্থিত আওয়ামী লীগ ও তার জোটবদ্ধ দলগুলোর এজেন্ট-পোলিং এজেন্টরাও ভোট দিতে আগ্রহ বোধ করেননি। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে এ দেশের মানুষ দেখেছে, শত শত কেন্দ্রে পুলিশ আনসার সদস্যরা রোদ পোহাচ্ছেন। রোদ পোহাচ্ছে নিঃসঙ্গ কুকুরও। ভোটার নেই। 
সেই নির্বাচনের মহিমা প্রচার করার জন্য গত ৫ জানুয়ারি (২০১৫) আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি ও ছাত্রলীগের ঘাতকনির্ভর সরকার তখনই শঙ্কিত ছিল যে, এই জনসমাবেশ তারা সফল করতে পারবে কি না। এর আগে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সভাসমাবেশ তারা ডেকেছে সোহরোওয়ার্দী উদ্যানে। কোনো কোনো দিন এমনো হয়েছে যে, সেসব সমাবেশে হাতেগোনা কয়েকজন কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হয়েছেন। ফলে ঘোষিত বক্তারা হাজির হননি। হাজির হননি সজীব ওয়াজেদ জয়। হাজির হয়ে শ্রোতার অভাবে ফিরে গেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এমনকি শেখ হাসিনা যে দিন বক্তৃতা দিতে এসেছিলেন, সে দিনও মিউনিসিপ্যালিটির গাড়িতে করে লোকজন আনতে হয়েছে। সেই শো-টাও ছিল খুব পুওর। 
কিন্তু গত এক-দেড় মাসে বেগম খালেদা জিয়া যেখানেই জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়েছেন, সেখানেই লাখ লাখ মানুষের মহাসমাবেশ হয়েছে। ফলে সরকারের শঙ্কা তো ছিলই যে আওয়ামী লীগের জনসভাটি সফল হবে কি না। অপর দিকে যদি বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়া হয়, তাহলে হয়তো সে সমাবেশে লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুমোদিত হলো। নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে তাদের সমাবেশের অনুমতি দিলো না সরকার; বরং সরকার এক অপকৌশল প্রয়োগ করল। আর তা হলো, সারা দেশে তারা সরকারি নির্দেশনার মাধ্যমে অঘোষিত অবরোধ জারি করে বসল। বন্ধ করে দিলো ঢাকামুখী সব বাস-লঞ্চ-ট্রেন। ঢাকায় প্রবেশ নিষেধ। আর পুলিশ ঘোষণা দিলো, এখন থেকে সারা দেশে সভা-সমাবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। তার অর্থ এই দাঁড়াল যে, বিএনপির যাত্রাভঙ্গ করতে গিয়ে তারা নিজেদেরও নাক কেটে ফেলল। তখন স্পষ্ট হলো, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় উদযাপনের জন্য কোনো আয়োজন করতে চায় না বা পারছে না। 
কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন। আর তা হলো, ৫ জানুয়ারি (২০১৫) সরকার অনুমোদন দিক বা না দিক নয়াপল্টনে জনসমাবেশ হবে। আর তাই সরকার ৩ তারিখ রাতেই বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের অফিসে তাকে আটক করে ফেললÑ বাইরে বের হতে পারবেন না তিনি। 
তারপর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার ওপর সরকারের পৈশাচিক নির্যাতন শুরু। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রুহুল কবির রিজভীকে আটক করে নিয়ে সরকার তাকে ‘চিকিৎসার জন্য’ ভর্তি করল অ্যাপোলো হাসপাতালে, অনেকটা যেন এরশাদের কায়দায়। খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ হয়ে পড়লেন তার নিজের দফতরে। ফ্যাসিবাদী অভিযাত্রার আর এক ধাপ শুরু হলো সেখান থেকে। আমিনবাজার, গাবতলী থেকে কমপক্ষে ১৩টি ইট-বালুভর্তি ট্রাক পুলিশ নিয়ে এলো গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে। পুলিশ বলল, এখন থেকে তাদের ডিউটি নাকি হবে সেখানেই। তাদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য কোনো টাকা-পয়সা তো দেয়া হলোই না, সরবরাহ করা হলো না কোনো খাবার। এমনকি যেতে দেয়া হলো না ট্রাক ছেড়েও। শুনেছি এসব ট্রাকের ডাইভার-হেলপাররা খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। সে দিকে পুলিশ কর্ণপাত করেনি। 
৫ জানুয়ারি (২০১৫) বিকাল সাড়ে তিনটায় বেগম খালেদা জিয়া যথারীতি তার অফিসকক্ষ থেকে বেরিয়েছিলেন আহূত জনসভায় যোগদান করতে। কিন্তু অবস্থা আগের মতোই অপরিবর্তিত। তিনি তখনো অবরুদ্ধ। তার কার্যালয়ে ঢোকা বা বের হওয়ার পথে ততক্ষণে হাসিনার সরকার সৃষ্টি করেছে ১৩ স্তরের নিরাপত্তাবলয়। ইট-বালুর ট্রাক, পুলিশের ভ্যান, পানিকামানÑ এসব তো ছিলই। তারপরও ছিল শুধু পুলিশের নয়টি স্তরের নিরাপত্তাবলয়। প্রায় দশ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সব সড়ক বন্ধ করে দেয়া হলো। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় অভিমুখী যেকোনো সড়ক ও গলির মুখে গুলশান ২ নম্বরজুড়ে দেয়া হলো কাঁটাতারের প্রতিবন্ধক। সেই রাতে ওই এলাকায় গিয়ে মনে হলো সেখানে যুদ্ধাবস্থা চলছে। 
বেগম খালেদা জিয়া ৫ তারিখ বিকেল সাড়ে তিনটায় নয়াপল্টনে ঘোষিত জনসভায় যোগ দিতে কার্যালয়ের নিচে এসে গাড়িতে উঠলেন। কিন্তু সরকার ততক্ষণে তার কার্যালয়ের সব দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণ গাড়িতেই বসে থেকে তিনি গাড়ি থেকে নেমে যখন সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলতে শুরু করেন, তখন ঘটল বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো রাজনীতিকের ওপরে সবচেয়ে অমানবিক হামলার ঘটনা। হিংস্র প্রাণী, বিষধর সাপ বা পাগলা কুকুরের ওপর প্রয়োগের জন্য যে পিপার ¯েপ্র, সেই ¯েপ্রই তিন হাতে একযোগে নিক্ষেপ করা হলো বেগম খালেদা জিয়ার ওপর। এর আগে যখন সরকার এই ¯েপ্র আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর নিক্ষেপ করেছিল, তাতে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটে। ফলে আদালত এই পিপার ¯েপ্র ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সরকারের এমন চণ্ডনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে সরকার নিজেই ঢাকা অবরুদ্ধ করার যে নীতি নিয়েছিল, তা অনির্দিষ্টকালের জন্য চালিয়ে যাওয়ার ডাক দেন বেগম খালেদা জিয়া। দেশব্যাপী সে অবরোধ চলছে।
এই ¯েপ্র নিক্ষেপের পরপরই বেগম জিয়ার পাশে থাকা বিএনপির কয়েকজন মহিলা নেতাকর্মী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বেগম খালেদা জিয়াও অবিরাম কাশতে থাকেন এবং তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তিনি তার অফিসকক্ষে ফিরে যান। সেই থেকে সরকার তাকে তার অফিসকক্ষেই অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসাও শুরু করা হয়। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সংবাদ সম্মেলন করে পিপার ¯েপ্রর ক্ষতির দিক ও বিষক্রিয়ার দিক তুলে ধরেন।
কিন্তু কোন যুক্তিতে বেগম খালেদা জিয়াকে এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তিনি গ্রেফতার নন। অথচ তাকে আটকে রাখা হয়েছে ডাকাতের কায়দায়। বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দিয়ে তার চলাচলের মৌলিক অধিকারও কেড়ে নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি তো বন্দী নন। ইচ্ছা করলে এখনই যেতে পারেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে উনি চিঠি দিয়েছেন উনার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য। যেই নিরাপত্তা জোরদার করতে গেলাম, তখন বলে বন্দী করে রাখা হয়েছে।’ ত্রাণমন্ত্রী বললেন, ইট ও বালুর ট্রাক তার বাড়ি সংস্কারের জন্য এনে রেখেছেন। তথ্যমন্ত্রী বললেন, উনাকে উসকানি থেকে বিরত করেছি। ত্রাণমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, অসুস্থতার ভান করে উনি জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, খালেদ জিয়া দেশবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন।
ইতোমধ্যে মিডিয়ার ওপর আরোপ করা হয়েছে কড়া নিয়ন্ত্রণ। টিভি চ্যানেলগুলো যে লাইভ অনুষ্ঠান প্রচার করছিল, সেসব বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। একুশে টিভির চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে, কৌশলে বন্ধ করা হয়েছে এর সম্প্রচার। অন্য চ্যানেলে সামান্যই উপস্থিত খালেদা জিয়া ও চলমান অবরোধের খবর।
বিভিন্ন মহল থেকে সরকারকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে, ক্ষমতা কখনো চিরস্থায়ী নয়। আওয়ামী লীগকেও একসময় ক্ষমতার বাইরে যেতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে গায়ের জোরে তার অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখার যে বিপজ্জনক মন্দ নজির আওয়ামী লীগ স্থাপন করল, এর জন্য হয়তো শিগগিরই তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে। 
সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন