অবৈধ সরকারের পতনে ২০ দলীয় জোটের টানা অান্দোলন দমনে সরকারের কোন পদক্ষেপই কাজে অাসছেনা।ফলে বিরোধী জোটের অান্দোলন এখন সফলতার দ্বারপ্রান্তে।দেশের অাপামর জনতা দলমত নির্বিশেষে বিরোধী জোটের অান্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে।বিরোধী জোটের অান্দোলনে জনগনের সমর্থন অাছে বলেই টানা ৩৫ দিন অবরোধ হরতাল সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
সরকার শুরুতে অান্দোলনকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও অান্দোলনের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা দেখে পরবর্তীতে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।ফলে সরকার বিরোধী দলের অান্দোলনের সংবাদ প্রচারে সকল ধরণের গনমাধ্যমকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করার উদ্যোগ নিয়েছে।সারাদেশে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সরকারের সর্বোচ্চ জায়গা এবং অাইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন পীড়নে সর্বোচ্চ হুঁশিয়ারি বহুবার দেওয়া হয়েছে।সেটিও অান্দোলন দমনে কোন সহায়ক ভূমিকা রাখেনি।
বিরোধী জোটের যৌক্তিক অান্দোলনের প্রতি মানুষের সমর্থন কমানোর জন্য সরকারের উদ্যোগে মূল সমস্যাকে অাড়ালকরে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতাকে বড় করে তোলা হয়েছে।যার সাথে বিরোধী জোটের সম্পৃক্ততা তারা প্রমান করতে পারেনি।নিয়মতান্ত্রিক অান্দোলনকে জঙ্গী রুপ দিতে গিয়ে সরকার সর্বত্র হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে।
টানা অবরোধে দেশ এখন কার্যত: অচল হয়ে পড়েছে।অাইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগনকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়ে এখন নিজেরাই রাতের বেলায় পরিবহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা অারোপ করেছে।
দেশের জনগন এখন সরকারের পতনের সময় ঘননা শুরু করেছে।এটা বুঝতে পেরে সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের কথায় এখন পূর্বের চেয়ে অত্যদিক নরমসুর পরিলক্ষিত হচ্ছে।তারা এখন অালোচনা কিংবা সংলাপে বসার মানসিকতা পোষণ করা শুরু করেছেন। যদিও ২০ দলীয় জোটের অান্দোলন ইতিমধ্যেই অলঅাউট পর্যায়ে চলে গেছে।অবৈধ সরকারের পতনকেই তারা এখন উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হিসেবে দেখছে।
এমতাবস্থায় সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে অাইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঝে তাদের দলীয় অানুগত্য পরায়ন কর্মকর্তাদের দিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিচার বহির্ভূত হত্যা করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।ইতিমধ্যে এ হত্যাকান্ড নিয়ে দেশ বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হয়ে উঠেছে।ফলে সরকারের এ অপকৌশলও ব্যর্থ হবে।
সুতরাং অান্দোলনের জনশক্তিদের সরকারের নেওয়া কোন পদক্ষেপের কাছে হার মানা যাবেনা। সকল ভয় ভীতিকে মাড়িয়ে অান্দোলনের সফলতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে।অত্যদিক কৌশল ও সাহসিকতার সাথে রাজপথে টিকে থাকতে হবে। এবারের অান্দোলনে বিজয় ছাড়া ঘরে ফেরা হবেনা ইনশাঅাল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন