ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৫

ছাত্রদল নেতা জনি হত্যার প্রতিবাদে লন্ডনে হাউস অব কমন্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ


২৩ জানুয়ারি ২০১৫: খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনি হত্যার প্রতিবাদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞাসহ বর্তমান সরকারের অসংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও বেইআইনী কার্যকলাপের প্রতিবাদে হাউস অব কমন্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সাবেক ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে চাপ প্রয়োগের জন্য বৃটিশ সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক মির্জা আব্বাস টেলিকনফারেন্সে বলেন, ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্র হত্যা ও কালো দিবস উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের যে ডাক দিয়েছেন সে ডাকে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মতো শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সবাইকে রাজপথে অবস্থান করতে হবে । খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার গঠনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।
অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহসভাপতি আবদুর হামিদ চৌধুরী, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আলহ্বাজ তৈমুজ আলী, মঞ্জুরুসসামাদ চৌধুরী মামুন, সহ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল, হেলাল নাসিমুজ্জামান, সাদেক মিয়া, শামছুর রহমান মাহতাব, সাংগঠিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সেলিম, উপদেষ্টা শামিম আহমেদ ।
অন্যান্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা শামিম, এমদাদ হোসেন টিপু, মিজবাহুজ্জামান সোহেল, সালেহ গজনবী, আবদুস শহিদ, কদর উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাজন মিয়া, সরোয়ার ইসলাম মতসির, এম তানবির আহমেদ ।
যুবদল নেতা দেওয়ান আবদুল বাছিত, সোয়ালেহিন করিম চৌধুরী, বাবর চৌধুরী, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নাসির আহমদ শাহিন, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, লন্ডন মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজবাহ বিএস চৌধুরী ।
সাবেক ছাত্রদল নেতা সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি ফাগুন আহমেদ, গোবিন্দগঞ্জ কলেজের সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, সরফরাজ আহমেদ সরফু ,আবু নাসের শেখ, সাইফুল ইসলাম মিরাজ, মাসুদুর রহমান, ইতমিয়াজ এনাম তামিম, জুল আফরোজ মজুমদার, রেজাউল করিম রিকি,আসাদুজ্জামান মুকুল ,মনোয়ার হোসেন, ওলিউর রহমান চৌধুরী ফাহিম, এস এম আতিকুর রহমান, শফিউল আলম মুরাদ ও মীর মাসুদ সেজান সাহাবউদ্দিন মজুমদার, মনির আহমেদ, হাসান আহমেদ, সোহেল সরকার, মাহবুবুর রহমান, মাহবুবআবদুল্লাহ শামিম, জাহিদুল ইসলাম রিপন, মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, কামরুল হুদা টিটু, নজুরুল ইসলাম খান, ছাত্রনেত্রী মাহুয়া সামান্তা, সাগর খান, মোহাম্মদ আলম সিমান্ত, আবদুর কাইয়ুম, খান পাভেল ।
যুক্তরাজ্য যুবদল নেতা আফজল হোসেন, মুফতি জাকির আহমদ, আকতার আহমদ শাহিন, জালালুর রহমান চৌধুরী ইমরান, আবদুল খয়ের, ফলিক আহমদ, কিবরিয়া ইসলাম, জামাল খালেদ, শাহজাহান আলম, মদরিস আলী মফজ্জল, শানু মিয়া । যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আতাউর রহমান মিফতা, এমদাদুল হক, আবদুল হাকিম, আবুল হাসনাত, রফিকুল ইসলাম সজিব, সিদ্দিকুর রহমান সোহাগ, মাহফুজ আহমেদ, নজুরুল ইসলাম, নাজমুল আলম ।

সভায় বক্তারা বলেন, ৫ জানুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা, খুন ও গুম অব্যাহত রেখেছেন। এই নির্বাচনের দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা ও কালো দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সেটি পালনের জন্য সমাবেশের ডাক দেয়ায় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকার। বেগম খালেদা জিয়া হলেন ‘মাদার অব ডেমোক্রেসী’ আখ্যায়িত করে বক্তারা বলেন, তাকে বন্দি রেখে সরকার কার্যত গণতন্ত্রকেই বন্দি করে রেখেছে। বক্তারা বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করে নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন তেমনি বেগম খালেদা জিয়াও বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার করবেন। আদালতের রায়ের মাধ্যমে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের বক্তব্য ইলেক্ট্রনিক কিংবা প্রিন্ট মিডিয়া প্রচার ও প্রকাশ করার নিষেধাজ্ঞা মানুষের বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে রংহেডেড শেখ হাসিনা এখন আইন আদালত পুলিশ, প্রশাসন সবকিছু নিজের পক্ষে ব্যবহার করতে চাইছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, তার বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশের নিষেধাজ্ঞা জাতি মেনে নিবে না। এটি শেখ হাসিনাকে ইতিহাসে তার পিতার মতোই জনগণের কাছে নিন্দিত হিসেবে পরিচিত করবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাবেক ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। জনগণের চাওয়া ছিল একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু তারা জানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা বিজয় লাভ করতে পারবে না ; তাই ৫ জানুয়ারি তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। সরকারের গ্রেফতার, দমন পীড়ন ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা অবিলম্বে সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি জানান। সমাবেশে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারে ও জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনের লক্ষ্যে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত সে আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
লন্ডন প্রতিনিধি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন