ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী জোটের ৫০ বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট আতংকের জনপদ চৌদ্দগ্রাম

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বরাবারের মতোই জামায়াতে ইসলামী সফল আন্দোলন সংগ্রামে বিশেষ করে এই অবরোধের ৩৩তম দিন যথাযথভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রশাসনের উগ্রতায় বিরোধী জোটের উপর হিংস্রতা এবং অপরাজনীতির ষড়যন্ত্র একদিনের জন্যও থেমে থাকেনি। অবরোধের মাত্র ৩৩তম দিনের আন্দোলনে অবরোধকালীন সময়ে জামায়াত-শিবির ও বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং হত্যা মামলাসহ মোট মামলা হয়েছে ১৬টি। বিরোধী দলের জোট নেত্রী সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি চৌদ্দগ্রামের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক গণমানুষের নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরসহ আসমী প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মী। গ্রেফতার করা হয়েছে শতাধিক। বাড়িঘর লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়েছে প্রায় ৫০টি। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার অধিক। গুলী করে পঙ্গু করা হয়েছে ১০ জন নেতাকর্মীকে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলী করে হত্যা করা হয়েছে ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী ছাত্র মো. সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারীকে। চৌদ্দগ্রামের জনগণের আন্দোলনে দুঃসাহসী ভূমিকা এবং ঐক্যবদ্ধতাই সরকারের মূল প্রতিহিংসার কারণ হিসেবে দেখছে স্থানীয় লোকজন। তাদের ধারণা সরকারের বহু নির্যাতনের পরও কোনভাবেই আন্দোলন দমাতে না পেরে গত ৩ ফেব্রয়ারি গভীর রাতে সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই রাতের অন্ধকারে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো ঘটনা ঘটানো হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষ যেভাবে মর্মাহত হয়েছে একইভাবে পুরো জাতি মর্মাহত হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনাকে পুঁজি করে পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারের বাহিনী নির্বিচারে চৌদ্দগ্রামে বহু নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করছে। নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গুলী এবং গণগ্রেফতার চালানো হয়েছে। ঘটনার একদিন পর র‌্যাবের ডিজি বেনজির আহম্মেদ ও পুলিশের চট্রগ্রাম রেঞ্জের প্রধান শফিকুল ইসলামসহ উর্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। তাদের বক্তব্যে বলা হয়, পুলিশ ১টি লাশের বদলে ২টি লাশ ফেলার ক্ষমতা রাখে। এসব বক্তব্যের পরই আরম্ভ হলো প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের খুনের নেশা ভাংচুর আর লুটপাট। ৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টা চৌদ্দগ্রাম থানাসংলগ্ন চান্দিশকরা গ্রামের উপজেলা শিবির সভাপতি সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারীকে সাদাপোশাকধারী পুলিশ বাবা-মায়ের সামনে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। পুরো রাতে মা-বাবা আত্মীয়-স্বজন থানায় বসে থাকে কিন্তু সাহাব উদ্দিনের কোন খবর পাওয়া গেল না। ভোর বেলা ফজরের নামাযের পর খবর আসলো ছাত্র নেতা সাহাব উদ্দিনের লাশ নিয়ে পুলিশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ খবর শুনার পর পুরো চৌদ্দগ্রামের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। পুরো জনপদ যেন হতভম্ভ স্তম্বিত। শহীদ সাহাব উদ্দিনের লাশ বাবা এবং সাথী ভাইয়েরা গত ৬ ফেব্রুয়ারি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেলে সেখানে এক হৃদয় বিদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টায় গ্রামের ঈদগাঁ মাঠে শহীদের জানাযায় মানুষের ঢল নামে। জানাযার পূর্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর সাহাব উদ্দিন, যিনি নিজেই কান্নায় ব্যাকুল হয়ে গেলেন পরে শহীদের পিতা মাওঃ জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী ছেলের কথা বলে নিজেও কাঁদলেন এবং কাঁদালেন হাজারো মানুষকে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হলো শহীদ সাহাব উদ্দিনকে। কিন্তু যৌথবাহিনী এবং সরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের অত্যাচারের মাত্রা চলতে থাকে। এমন একটি অবস্থা বিরাজ করছে চৌদ্দগ্রামের পুরো জনপদ এখন চরম আতঙ্কে। উপজেলা জামায়াতের আমির মো. সাহাব উদ্দিন ও সেক্রেটারি শাহ মো. মিজানুর রহমান জানান, সরকারের পুলিশ ও যৌথবাহিনীর খুনের নেশা এখনো শেষ হয়নি। তারা আরো খুন করতে পারে। যৌথবাহিনী এবং তাদের ছত্রছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লুটতরাজ ও ভাংচুর অব্যাহত রয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অব্যাহত সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি। আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বিগত সময়ে আমাদের আরও ৫ জন ভাইকে শহীদ করেছে। আহত করেছে প্রায় ৩০০ জনকে, পুঙ্গত বরণ করেছেন ২০ জন। তাদের জুলুম নির্যাতনের ভয়ে আলকরা, গুনবতী এবং জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নে বাড়ি ঘরে থাকতে পারছে না অসংখ্য নেতাকর্মী। এ ভয়াবহ তা-বতা থেকে চৌদ্দগ্রামের জনগণ মুক্তি চায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন