ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কামারুজ্জামানের রায় নিয়ে আইনমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন’

কামারুজ্জামানের রায় নিয়ে আইনমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন’
ঢাকা: জামায়াতে ইসলামী নেতা মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের রায় লেখা নিয়ে এক বিচারপতির প্রতি সন্দেহ পোষণ করে বক্তব্য দিয়ে আইনমন্ত্রী চরম আদালত অবমাননা করেছেন বলে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিপন্থি এই আইনজীবী এ মন্তব্য করেন।
গতকাল সোমবার ধানমন্ডিতে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের বিষয়ে একজন (সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের এক বিচারপতি) বিভক্ত রায় দিয়েছেন। কিন্তু তিনি এখনো রায় লেখেননি। আইনে বলে, পুরো রায় না পাওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর করা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘ওনাকে রায় লেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, এখন দেখা যাক। আপনি বিভক্ত রায় দিয়েছেন, এতোই যখন জ্ঞান, রায় লিখতে অসুবিধা কী? তবে এটাও কিন্তু ষড়যন্ত্রের একটা অংশ হতে পারে।’
শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক প্রয়াত অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভার এই বক্তব্য মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নজরে এনে সংবাদ সম্মেলনে কামারুজ্জামানের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আইনমন্ত্রী একজন বিজ্ঞ আইনজীবী ছিলেন। তার এ ধরনের বক্তব্য চরম আদালত অবমাননাকর।’
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের অনেক রায় আছে যার পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশ পায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় ১৬ মাস পর, কাদের মোল্লার রিভিউয়ের রায় ১১ মাস পর, ফতোয়ার রায় সাড়ে তিন বছর পর পূর্ণাঙ্গভাবে বের হয়েছে।’
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘এমন অসংখ্য রায় রয়েছে, যা প্রকাশ করতে আদালত দীর্ঘ সময় নেন। এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে, তা যদি বলা হয়, তাহলে তা আদালত অবমাননার সমতুল্য।’
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির এই সভাপতি বলেন, ‘এই ধরনের বক্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মন্ত্রীকে অবিলম্বে এ বক্তব্য সঠিক নয় বলে জনসম্মুখে বলতে হবে। যদি তিনি তা না বলেন, তবে আমি মনে করি, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তার জন্য একটি ব্যবস্থা হওয়া উচিত।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত বছরের ৩ নভেম্বর তার আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ।
ওই বেঞ্চে ছিলেন- বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা), বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন