পৌর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক মহুয়া নুর কচি (৩৮) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে |
অর্থাভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে না পারায় ধীরে ধীরে তিনি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কিডনী, হৃদরোগ ও জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন।
পরিবার ও চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি রাতে মহুয়া নুর বাবু হঠাৎ স্ট্রোক করেন ও জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।
ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, তাকে দ্রুত প্রায় ১২ লাখ টাকা মূল্যের একটি আইভিআইজি নামের ভাইরাস ইনজেকশান দেয়া খুবই জরুরি।
ঢাকায় তার সাথে থাকা মেয়ে সাদিয়া নুর পরমা জানান, ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি ঘটছে। তার চিকিৎসার জন্য যে বিপুল পরিমাণ টাকার দরকার সেটা যোগান দেয়ার সাধ্য আমাদের নেই। প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় তার মায়ের চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় কি করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময় সানাউল্লাহ নুর বাবু তার একমাত্র বাড়িটি বিক্রি করে নির্বাচনের খরচ চালান। নির্বাচিত অবস্থায় সরকারি বাসায় থাকলেও ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর বনপাড়া বাজারে বিএনপির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে প্রকাশ্য দিবালোকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় সানাউল্লা নুর বাবু খুন হন। পরে মহুয়া নুর কচি তার তিন মেয়ে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সংসারে উপার্জনক্ষম কোনো ব্যক্তি না থাকায় মেয়েদের নিয়ে কোনোরকমে দিনাতিপাত করছিলেন তিনি।
এ অবস্থায় মাকে বাঁচাতে তার অসহায় তিন মেয়ে সানজিদা নুর পুনম, সাদিয়া নুর পরমা ও সুরাইয়া নুর উপমা দেশবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ০১৭১৫-২১০০৫২ (রাজু আহম্মেদ) নম্বরে কথা বলার জন্য পরিবারের সদস্যরা অনুরোধ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন