বগুড়া অফিস : বগুড়ায় তিন শিবির কর্মীকে আটকের ৭ ঘণ্টা পর ককটেল ও পেট্রোল বোমাসহ মিডিয়ার সামনে হাজির করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি- ১২টি ককটেল ও ২টি পেট্রোল বোমাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, এটাকে নাটক বলে দাবি করেছে ছাত্রশিবির।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, “সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নুরে আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন ও উপ-শহর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ আমিরুল ইসলামসহ একদল পুলিশ বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের ঝুপগাড়ী এলাকার ট্যাংক ব্রীজের নিকট একটি দ্রতগামী মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করে। এসময় মোটর সাইকেলের ৩ আরোহী দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে। আটকৃকতরা হলো সদর থানা শিবিরের সভাপতি মসিউর রহমান (২৪), শিবির কর্মী ইউসুফ আলী (২৩) এবং শিবির কর্মী রাজু আহম্মেদ (২৪)। এসময় তাদের কাছে থাকা ২ দুটি ব্যাগ তল্লাশি করলে ১২টি ককটেল, ২টি পেট্রোল বোমা ও ৪টি শিবিরের চাঁদা আদায়ের রশিদ বই পাওয়া যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা এ বিস্ফোরকগুলো মোকামতলা হতে চারমাথায় দুজন শিবির নেতাকে পৌঁছে দেয়ার জন্য যাচ্ছিল।’
তবে, ইসলামী ছাত্রশিবির বগুড়া জেলা উত্তর শাখার সভাপতি এনামুল রানা জানান, “ছাত্রশিবির মোকামতলা সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মসিউর রহমান শনিবার সরকারি আজিজুল কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তির কাজ শেষে দুই বন্ধুসহ বাড়ী ফেরার পথে বেলা ১টার দিকে পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে মিডিয়ার সামনে হাজির করা হয়।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন