আসেন এবার তাহলে একটু তার ইতিহাসটা দেখিঃ
১)২০০৪ সালে শেরাটন হোটেলের সামনে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসে গানপাউডার ঢেলে আগুন দেওয়া হয়, যাতে ১১ জন যাত্রী পুড়ে মারা যান। শেখ সেলিমের নিজের জবানবন্দীতেই আছে শেরাটন হোটেলের সামনে গান পাউডার দিয়ে মানুষ মারবার বয়ান আছে।
২)১৯৯৪ সালে ৪ ডিসেম্বর বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে মিরপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে ১১ জন কে পুড়িয়ে মারা হয়।
৩)১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের তেল বাহী জাহাজে আগুন দেওয়া যাতে পুরো বন্দর জ্বলে যাওয়ার সম্ভবনা ছিল যদি সাথে সাথে আগুন নিয়ন্তনে আনা না হত!!
এইরকম ভুরি ভুরি উদাহরন আছে,
১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত কেয়ারটেকার আন্দোলনের নিহত হয় ১২২ জন লোক, যার বেশীর ভাগই লীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারন,
আর গত কয়েকদিনে বিভিন্ন স্থানে যেসব গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে তার সিংহ ভাগই লীগের কর্মীদের ছত্র ছায়া হয়েছে,
#যাত্রাবাড়ীতে বাসে আগুন দেওয়ার সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল ,পুলিস নীরব দর্শকের ভুমিকায় ছিল কেন?
#কুমিল্লাতে বাসে আগুন দেওয়ার সময় ছাত্র লীগের ক্যাডাররা উপস্তিত ছিল,সেখানে ও পুলিশ নীরব দর্শকের ভুমিকায় ছিল,এবং পুলিশ যাত্রীদের সহায়োতায় এগিয়ে আসেনি ও ফাইয়ার সার্ভিসেও কল করেনি।
#এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে লীগের ক্যাডার বা তাদের আত্মীয় স্বজনরাই গ্রেপ্তার হচ্ছে আগুন দেওয়ার সময়।
বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করলে কার উপকার হচ্ছে তা এখন দিনের আলোর মত স্পষ্ট।
তাই বাসে আগুন দিয়ে আন্দোলন দমানোর যে নাটক মঞ্চত হচ্ছে তা ও ফ্লপ।
লিখেছেন: এমডাডুল হক পারভেজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন