কাদের সিদ্দিকীর অবস্থান কর্মসূচীর মঞ্চ পুলিশ তুলে নিয়েছিলো বলে অভিযোগ করেছে দলটি। তাছাড়া অবস্থান কর্মসূচীতে অবস্থানরত নেতাকর্মীকে হুমকির অভিযোগও করা হয়েছে। সোমবার গনমাধ্যমে পাঠানো দলের এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম এর অবস্থান কর্মসূচীর মঞ্চ, চেয়ার রবিবার গভীররাতে মতিঝিল থানা পুলিশ অবস্থানে ব্যবহৃত বাঁশ, কাঠ, চেয়ার, মঞ্চ নিয়ে যায়। মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পঞ্চম দিনের অবস্থান কর্মসূচি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ঘুমিয়ে পড়লে আবার আগের রাতের মতো রাত ১টার দিকে মতিঝিল থানা পুলিশ কোন নোটিশ ছাড়া পিকআপে করে তুলে নিয়ে যান। এ সময় নাম্বার প্লেট বিহীন হাইচ গাড়ী নিয়ে আসেন। তাছাড়া অবস্থান কর্মসূচীতে অবস্থানরত নেতাকর্মীকে শাসিয়ে যান।
এসময় দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী ও কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন নবী সোহেল ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাতুল ইসলাম দীপ সহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৪র্থ দিন অবস্থান কর্মসূচী শেষে রাত ১০টার পর মতিঝিল থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা বঙ্গবীরকে প্যান্ডেলের অর্ধেকটা সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানালে তিনি তাকে বলেন. ঠান্ডার কারণে এভাবে চট দিয়ে ঘেরা দেয়া হয়েছে এবং সকালেই তা সরিয়ে ফেলা হবে। এসময় পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আপনার কথা সবাই বিশ্বাস করে, আস্থা রাখে। কিন্তু প্যান্ডেল সকালের আগেই সরিয়ে ফেলতে হবে।” এসময় বঙ্গবীর ‘আচ্ছা, দেখা যাক” বলার পর সেই কর্মকর্তা চলে যান। ফুটপাতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী রাতে ঘুমিয়ে পড়ার পর মতিঝিল থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে দলীয় নেতাকর্মীদের প্যান্ডেল আংশিক ভেঙ্গে ফেলতে বলেন।
গণঅনশনে অংশ নিতে বি. চৌধুরীর আহ্বান
দুই নেত্রীকে আলোচনায় বসানোর দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের প্রতি বিকল্পধারা
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই নেত্রীর সংলাপ ছাড়া সমাধানের অন্য কোনো পথ নেই। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমি এর আগে ৭ দিনের মধ্যে সংলাপে বসার জন্য দুই নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমি এটাও বলেছিলাম, এই ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বই মুখ্য। ইতিমধ্যে ৭ দিনের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা আরো বলেছিলাম ৭ দিন পর সাধারণ মানুষকে নিয়ে গণঅনশন করবো।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, আমরা গণঅনশন কর্মসূচির বিষয়ে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল এবং অরাজনৈতিক সংস্থার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। আমি আশা করি, তারা এগিয়ে আসবেন।
বি. চৌধুরী বলেন, যারা গণঅনশন কর্মসূচিতে অংশ নিতে চান তাদের বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সঙ্গে (মোবাইল: ০১৮৩৩-৩১২৭২০) অবিলম্বে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
উৎসঃ নয়া দিগন্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন