ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৪

হিন্দুস্তান টাইমসের সম্পাদকীয় : শেখ হাসিনার জয় হবে ‘সম্পূর্ণ অবৈধ’ ; ভারতের বাংলাদেশনীতি আহাম্মকি কানে তালা লাগিয়ে রেখেছে দিল্লি

ডেস্ক রিপোর্ট আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনা নিরঙ্কুশ জয় পেলেও তা ‘সম্পূর্ণ অবৈধ’ হবে বলে মন্তব্য করেছে ভারতের বহুল প্রচারিত দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস। পত্রিকাটির এক সম্পাদকীয়তে ভারতের বাংলাদেশনীতির কড়া সমালোচনা করে একে ‘আহাম্মকি’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে রাজপথে সহিংসতা সাধারণ চিত্র হলেও প্রধান বিরোধী দলের বর্জনের ঘটনা বিরল। এ অবস্থায় আগামী ৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরঙ্কুশ জয় পেতে যাচ্ছেন, কিন্তু তা হবে সম্পূর্ণ অবৈধ।’ ‘এ স্টাবল ডেমোক্র্যাটিক পলিটিক্স ইন বাংলাদেশ ইজ ইন ইন্ডিয়া’স ইন্টারেস্ট (ভারতের স্বার্থেই দরকার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্থিতিশীলতা)’ শিরোনামে গত সোমবার প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে বলা হয়, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বন্ধের জন্য শক্তি প্রয়োগ করেছে, কিন্তু ব্যাপক মাত্রায় সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন ভণ্ডুল করে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে যে, নির্বাচন পরিচালানার জন্য যৌক্তিক নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে, এমনকি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা স্থগিত করার কিছুটা কম যৌক্তিক দাবির পক্ষেও বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক সহানুভূতি আদায়ে সক্ষম হয়েছেন। দিল্লি এ ক্ষেত্রে কানে তালা লাগিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যাপকভিত্তিক সম্পর্কের কারণে বিশ্ব চেয়েছিল ঢাকার ব্যাপারে নয়াদিল্লি অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক। তবে ভারতের অবস্থান হলো বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ’ না করা। তবে এই ধারণা স্পষ্ট যে, আরেকবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারলে নয়াদিল্লি অখুশি নয়। এটা শুধু এই কারণে নয় যে, শেখ হাসিনা ভারতের প্রতি অধিক বন্ধুসুলভ। বরং এটা এ কারণেও যে, নয়াদিল্লি চায় ঢাকায় এমন সরকার ক্ষমতায় থাকুক, যারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদ, ইসলামী সন্ত্রাসবাদ ও আন্তঃসীমান্ত সংযোগ ইস্যুতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। শেষের আকাঙ্ক্ষাগুলো যদিও বোধগম্য তথাপি ভারতের বোঝা উচিত যে, বাংলাদেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল তার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রক্ষা হতে পারে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, যে ঢাকা প্রতিটি নির্বাচনে ভারতপন্থী থেকে ভারতবিরোধী অবস্থান নেয় তা ভারতের প্রতিবেশী নীতির আহাম্মকি বৈ কিছু নয়। দেশটির মেরুকরণকৃত রাজনৈতিক ব্যবস্থার ইতি টানার জন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। প্রমাণ আছে যে, বিএনপির ব্যবসায়ী সমর্থকরাও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য থেকে উপকৃত হওয়ায় তাদের ভারতবিরোধিতা কমে আসতে শুরু করেছিল। নির্বাচন বর্জনের ফলে বাংলাদেশ এতদিনে যে রাজনৈতিক পরিপকস্ফতা অর্জন করেছিল তা জলে গিয়েছে। এতে ভারতের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত কোনো লাভ হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন