ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

খালেদার কার্যালয় : খাদ্য সংকট-অাতঙ্কে ৫০ জন

চাপা অাতঙ্ক, নিয়মিত খাবার-সংকট অার শঙ্কার মধ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দিন-রাত কাটাচ্ছেন সিনিয়র নেতা-কর্মীসহ অন্তত ৫০ জন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই দলীয় কার্যালয়ের কর্মরত কর্মকতা ও স্টাফ। লাগাতার অবরোধ ও হরতালের কারণে ৩ জানুয়ারি থেকে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গেই তারা অব্স্থান করছেন। তবে বাইরে বের হতে না পারলেও কার্যালয়ের ভেতরে নিয়মিত বিরতি দিয়ে নিজেরা আড্ডা দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। এ অাড্ডার ইস্যু কখনও পরিবার, কখনও কার্যালয়ের বাইরের পরিস্থিতি। বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিক-নির্ভর বিষয়ই প্রাধান্য পাচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকরা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কার্যালয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে গুলশান-২-এ খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের ভেতরে নেতা-কর্মকর্তা-স্টাফদের জন্য বাইরের হোটেল থেকে নিয়মিত খাবার প্রবেশে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা চালু হয়। এরপর থেকে কখনও রুটি-কলা, চিড়া-চিনি-কলা, কখনও বিক্ষিপ্তভাবে অানা তেহারি খেয়েই দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাদের। তবে স্বাভাবিক খাবারের অভাবে ধীরে-ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কেউ-কেউ। ইতোমধ্যে দুজন স্টাফের রক্ত পরীক্ষা করতে এসেছিলেন একজন চিকিৎসক। এরই মধ্যে কার্যালয়ে অবস্থানকারীদের অনেকের বিরুদ্ধে অন্তত ৪টি নতুন মামলা হওয়ায় একই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চাপা অাতঙ্কও।
জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হঠাৎ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অসুস্থ হওয়ার খবরে নয়া পল্টনের দিকে রওয়ানা হয়েছিলেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর অাইনশৃঙ্খলাবাহিনী তাকে বাধা দিলে অদ্যাবধি তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তবে ওই দিন থেকে তার সঙ্গে রয়েছেন অর্ধশতাধিক নেতা-নেত্রী, কর্মকর্তা, স্টাফ ও তার নিরাপত্তারক্ষীরা। যদিও একদিন পর ৫ জানুয়ারি ঘোষিত কর্মসূচি 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস'-এর সমাবেশে যোগ দিতে বিকাল ৩ টার দিকে খালেদা জিয়া কার্যালয়ের নিচে নামেন। এরপর তিনি কার্যালয় থেকে বের হতে না পেরে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার পর কিছুটা পুলিশি শৈথল্য আসে। এরপর সন্ধ্যার অাগে-অাগে ভেতরে থাকা অনেক নেতা-কর্মীরাই বেরিয়ে অাসেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কার্যালয়ে অন্তত ৫০ জন অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক অাইজিপি অাবদুল কাইয়ুম, ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রাহমান শিমুল বিশ্বাস ও মাহবুব অাল অামিন ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয় লে. কর্নেল অাবদুল মজিদ, একান্ত সচিব এম এ সাত্তার, মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন অাহমেদ দিদার, প্রকৌশলী জসিম উদ্দীন, খালেদা জিয়ার দেখাশোনা করা ফাতেমা বেগমের নামে একজন নারীর নামও জানা গেছে। এছাড়া রয়েছেন ৫ মেজরসহ ১৬ জন নিরাপত্তারক্ষী (সিএসএফ)। ৪ জন করে পিয়ন ও দারোয়ান। গাড়ি ড্রাইভার রয়েছেন ৮জন।
সর্বশেষ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদার কার্যালয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও অবস্থান করছেন বলেও জানা গেছে।
স্বাভাবিক খাবার না থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অবস্থানকারীরা
গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়ার খাবার ব্যতীত কার্যালয়ের ভেতরে অন্যদের অাহারের খাবার নিতে বাধা দিচ্ছে ওই কার্যালয়ের সামনে থাকা অাইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত সাতবার কার্যালয়ের ভেতরে খাবার নিতে দেয়নি পুলিশ। খাবার দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে অাটক হয়েছেন মহিলা দলের ছয়জন কর্মী। অাটক হয়ে ছাড়া পেয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীনও। যদিও পুলিশি বাধার মধ্যে লুকোচুরি করে কখনও-কখনও শুকনো খাবার নেওয়া হয়েছে কার্যালয়ের ভেতরে। এর মধ্যে কলা-রুটি, চিড়া-গুড়, মুড়ির মতো শুকনো খাবার অাছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছি না। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার যখন প্রায় দেড়শ প্যাকেটের মতো রাতের খাবার পুলিশ ফিরিয়ে দেয়, ওই রাতে অামাদের প্রত্যেকেই না খেয়ে ছিল। এরপর ওই রাত ১১ টা থেকে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে খাবার কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে অাসার চেষ্টা করলেও অানতে পারিনি। এরপর দিন বৃহস্পতিবার নাস্তা খেতে পারেনি কেউ। পরদিন শুক্রবার প্রয়াত অারাফাত রহমান কোকোর জন্য দোয়া-মাহফিলের পর তবারক হিসেবে অানা তেহারি খেয়েছি অামরা। '
শায়রুল কবির বলেন, 'স্বাভাবিক খাবার না খেয়ে বিস্কুট, কলা খাচ্ছি প্রায় ১১ দিন ধরে। এতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। অাড্ডা দিচ্ছি। এতেও ঠিকভাবে শরীর কাজ করছে না। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ব্যাক পেইনে ভুগছেন ম্যাডামের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর অানোয়ার। ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এসব কারণে শুক্রবার সকালে ডাক্তার এসে দুজনের রক্ত নিয়ে গেছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা খুব নাজুক।' শায়রুল কবির জানান, 'ডিশ সংযোগ নেই, ইন্টারনেট নেই। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও কিছুদিন কাজ করেনি। সব মিলিয়ে কথা বলার কার্যকারণগুলোও দিনে দিনে ক্ষয়ে অাসছে।'
যদিও অাইজিপি একে এম শহীদুল হক গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, 'খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার প্রবেশে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়া নিয়মিত খাচ্ছেন এবং সুস্থ রয়েছেন।'

'দমবন্ধ পরিবেশে খালেদা জিয়া'

গত ৩ জানুয়ারি থেকে গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় তার নির্ধারিত কক্ষে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। ৩ জানুয়ারি রাতে তালা না দেওয়া হলেও ৫ জানুয়ারি বিকালে খালেদা জিয়া ফের কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলে তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর গত ১৭ জানুয়ারি রাত পৌনে একটার দিকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আবারও তালা দেওয়া হয়। পরদিন (১৮ জানুয়ারি) সকালে তা আবার খুলে নেওয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আর তালা লাগানো হয়নি। ওই কার্যালয়ের যে রুমটিতে খালেদা জিয়া বর্তমানে রয়েছেন, সে কক্ষে জানালা থাকলেও নিরাপত্তার খাতিরে তা বন্ধ রয়েছে।
'শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকলেও দিনের পর দিন এক ধরনের গুমট ও দমবদ্ধ পরিবেশ তৈরি হয়েছে কার্যালয়টির ওই কক্ষে' বলে দাবি করেন তার মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, 'অফিসকক্ষটি তো দমবদ্ধ হওয়ার মতো। এক রুমে একজন মানুষ কতদিন? নিজের সন্তানের মরদেহ দেখলেন, প্রিপার স্প্রের কষ্ট সয়েছেন। এটা তো এক ধরনের অসম্ভব কাজ।' তিনি অারও বলেন, 'ফজরের নামাজের পর কিছু সময় ইবাদত এবং এরপর পত্রিকা পড়ে নাস্তা করেন ম্যাডাম। ডিশ, ইন্টারনেট সংযোগ নেই। এভাবেই তো চলছে। কেবল মানসিক শক্তিবলে চলমান অবরোধ নেতৃত্ব দিচ্ছেন ম্যাডাম।'
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শরীরের দেখভাল করছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন। তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। এছাড়া মাঝে-মধ্যে সময় পেলেই সন্ধ্যার পর কার্যালয়ের ছাদে হাঁটতে বের হন তিনি। তবে প্রতি রাতেই তার সঙ্গে দুই ভাইয়ের যে কোনও একজনের স্ত্রী থাকেন।
উদ্ধৃত হতে অনিচ্ছুক এক সূত্রের দাবি, গত কয়েকদিনে জাতিসংঘসহ অান্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকায় খুশি খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে ভেতরে নজরুল ইসলাম খানও এসব বিষয়ে অবহিত করছেন তাকে।

অাড্ডার সঙ্গে অাতঙ্ক

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করা নেতা, নেত্রী, কর্মকর্তা, স্টাফদের গত পনের দিনে অন্তত ৪ টি মামলা করেছে পুলিশ। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা রয়েছে।
নতুন করে এসব মামলায় শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল খান, শায়রুল কবির, শামসুদ্দিন দিদারসহ কার্যালয়ের ভেতরে রয়েছেন এমন অনেক নেতার নামও রয়েছে।
শায়রুল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, 'গত ১৫ দিনে অন্তত ৪টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলার কারণে এক ধরনের অাতঙ্ক তো রয়েছেই্।
তবে কার্যালয়ের ভেতরে থাকা একটি সূত্র জানায়, 'খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকায় মামলা হলেও কোনও অাতঙ্ক বিরাজ করছে না।' কারণ হিসেবে সূত্রের যুক্তি, 'সরকার মনে হয় না খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে প্রবেশ করে তাদের অাটক করে নিয়ে যাবে।'
এ ব্যাপারে শায়রুল কবির খান বলেন, 'দেখুন এখানে অামরা কোনও লোভে পড়ে থাকছি না। ম্যাডামকে ভালোবাসি, তার অান্দোলনের স্পৃহা, জাতীয়তাবাদের বিশ্বাস থেকে নিজেদের এই কষ্টকে এখন অার কষ্ট মনে হয় না। দলের জন্য, চেয়ারপারসনের জন্য একটু করতে পারছি, এটাই গর্বের। অামাদের মিডিয়া উইং অানন্দিত ঐতিহাসিক এসব মুহূর্তের সঙ্গী হতে পেরে।'
'নিয়মিত পরিশোধ হচ্ছে ইউটিলিটি বিল ও ভাড়া'
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়টি গুলশান-২ এ ৮৬ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়িটি। দোতলা বিশিষ্ট বাড়িটির পেছন দিকে এক চিলতে ফাঁকা জায়গা রয়েছে। কাঁঠাল বৃক্ষশোভিত এ জায়গাটিতে বরাবর কার্যালয়ের ভেতরে থাকা লোকেরা বিশ্রাম, অাড্ডা ও নামাজের জন্য বেছে নেন।
বিএনপির অান্তর্জাতিক বিষয়ক একজন সম্পাদকের এই বাড়িটি নেওয়া হয়েছে ভাড়া। ২০০৮ সালে ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া সাব-জেল থেকে মুক্তি পেয়ে প্রথম দলীয় বৈঠক করেন তার উপদেষ্টা সাংবাদিক শফিক রেহমানের ইস্কাটনের বাসায়। এরপর ওই মাসেই গুলশান-২-এ এই বাসাটি ভাড়া নেওয়া হয় তার কার্যালয়ের জন্য।
বাড়ির ভাড়া, ইউটিলিটি বিল ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্নে শায়রুল কবির বলেন, 'অবশ্যই দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পাওনা, ব্যক্তির পাওনা, সবই নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে। সরকারের বিল বাকি রাখব কেন?

দুশ্চিন্তা অার সংকটে স্টাফদের পরিবার : 'বাধাগ্রস্ত বিকল্প কর্মসংস্থান'

খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের ভেতরে থাকা নিরাপত্তারক্ষী, দারোয়ান, পিয়ন, ড্রাইভাররা, অফিস সহকারীরা গত জানুয়ারি মাসের বেতন না পাওয়ায় তাদের পরিবারে তৈরি হয়েছে অার্থিক সংকট। এর মধ্যে প্রায় ২০ জনের মতো রয়েছেন। কার্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় না থাকায় তাদের বেতনভাতা সময়মতো পরিশোধ করা গেলেও বাইরে বের হতে না পারায় পরিবারের কাছে যাচ্ছে না তাদের অর্থ। এছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে কার্যালয় থেকে না বেরুনোর কারণে সংশ্লিষ্টদের পরিবারের মধ্যে রয়েছে সার্বক্ষণিক উৎকণ্ঠা। নিজেদের বাবা-মা, সন্তান, স্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না তারা। একবার বেরুলে অার প্রবেশ করা যাবে না বা গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা থাকায় নিজেদের পরিবারের সঙ্গে মাঝে-মাঝে ফোনালাপই যথেষ্ট মনে করতে হচ্ছে তাদের।
এ ব্যাপারে শায়রুল কবির দাবি করেন, 'এখানে কিছু স্টাফ অাছেন, যারা বেতনভুক্ত। কিন্তু বেশিরভাগ রয়েছেন যাদের বিকল্প কর্মসংস্থান রয়েছেন, তারা তো সবাই এখানেই। এ কারণে বিকল্প কর্মস্থানগুলোও চালানো যাচ্ছে না। এতে অার্থিক ক্ষতি তো হচ্ছেই।
তিনি অারও বলেন, 'তবে অর্থনৈতিক দুর্ভোগটা অামাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না। ম্যাডামের এই শোকের দিনে, অার্থিক সংকট বড় নয়। এছাড়া পরিবারের সঙ্গে তো দেখা হচ্ছে না। এতে পরিবারের তো কষ্ট হবেই। এগুলো তো বাস্তব।'
সম্প্রতি নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার স্যুয়োরেজ লাইন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপর এ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে শায়রুল জানান, 'না এখনও এধরনের সমস্যা দেখা যায়নি।'
এসব বিষয়ে কথা হয় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম অাহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া যে সংগ্রাম করছেন, লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, এ লড়াই অান্দোলনের ইতিহাসে অাবারও মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। তিনি যে অাপসহীন, তা রাষ্ট্রের ক্রমাগত অত্যাচারেও প্রমাণিত হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন