ঢাকা: পণ্যবাহী গাড়ি হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত রাখা,
আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও বন্ধ করা, সড়ক মহাসড়কে
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি ও মালামালের
ক্ষতিপূরন দেয়ার দাবিতে শান্তি শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ
পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর পণ্য
পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু থেকে শুরু হওয়া সাদা পতাকা নিয়ে এই শোভাযাত্রা
দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেন দুই হাজারেরও
বেশি মালিক, কর্মকর্তা- কর্মচারী ও শ্রমিক।
প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে মালিক নেতারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ বন্ধ করা এবং মহাসড়কে
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও ক্ষতিপূরন দেয়া না হলে পণ্যপরিবহন বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আমানুল্লাহ ও
সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ হুমায়ুন, মহানগর পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতির সভাপতি হাজী
এম এ মান্নান ও সাধারন সম্পাদক দোলন কান্তি বড়ুয়া, সমিতির নেতা আবদুল কাদের, ফকির মোহাম্মদ,
জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির, সেলিম উদ্দিন, রনজিত সাহা, মতিউর রহমান, মো. হান্নান, রফিকুল্লাহ
সুজন, সেবক রায়, তৌফিক হাসান রনি, এসানুল আলম প্রিন্স, নিকাশ দেব ও রফিকুল ইসলাম।
সমাবেশে জানানো হয় পণ্যবাহী গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের কারণে গত চল্লিশ দিনে পণ্য পরিবহন
এজেন্সি মালিক সমিতির সদস্যদের প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময়ে দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দিয়েছে
পণ্যসহ ৮টি গাড়ি। প্রায় অরক্ষিত সড়কে পণ্যপরিবহন করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও নিরাপত্তার
জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরন পাওয়া যায়নি।
সমাবেশে আরো বলা হয়, ২০১৩ সালেও হরতাল-অবরোধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা কোনো ক্ষতিপূরন
পাননি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ঝুঁকি নিয়ে এক হাজারেরও বেশি শাখার মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ট্রাক-
কাভার্ডভ্যানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু জ্বালাও পোড়াও বন্ধ ও নিরাপত্তা
নিশ্চিত করা না হলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। সমাবেশে গাড়ি
চলাচলে ও লোড-আনলোডে পুলিশি সহযোগিতার দাবি জানানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন