ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

পেট্রলবোমা ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার হচ্ছে ছাত্রলীগ-যুবলীগও


১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়  সহিংসতাকারীদের সঙ্গে পেট্রলবোমা, ককটেল, আগ্নেয়াস্ত্রসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরাও আটক হচ্ছেন। এসব নেতাকর্মীরা ধরা পড়লেও পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ফেনীর দাগনভূঁঞা এলাকায় বিদেশি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগজিনসহ কায়সার (২৫) নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে দাগনভূঁঞা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। ফেনীর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত কায়সারের বাবার নাম কাজেম আলী। উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। সে পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতা। তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত কায়সার ছাত্রলীগের কেউ নয়।
এছাড়া কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়নের কেসকি মোড় এলাকায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি পেট্রলবোমাসহ মানিক ও বাবুল নামে দুই যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশ। আটক দু’জনই জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ১১টার দিকে যুবলীগের ২ নেতাকে পুলিশ আটক করে। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী আটকের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, রোডে পরিত্যক্ত অবস্থায় দু’টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়। তবে আটককৃত যুবলীগের নেতাদের থানা থেকেই পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের জয়পুরা কলেজ গেট থেকে ১টি পিস্তলসহ ওয়াসিম (২৯) নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশ। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে আটক করে। তার বাবার নাম মো. হোসেন। উপজেলা পৌরসভার কলমচা গ্রামে তাদের বাড়ি বলে জানা গেছে। সে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে জয়পুরা কলেজ গেটের সামনে স্থানীয় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় যুবলীগ নেতা ওয়াসিম একটি পিস্তল নিয়ে সেখানে গিয়ে লোকজনকে অস্ত্রের ভয় দেখায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে অস্ত্রসহ আটক করে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওয়াসিমকে পিস্তলসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। পিস্তলে কোনো গুলি ছিল না। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ছানাব এলাকায় ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বোমা তৈরির সময় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রহমতউল্লাহ নামে ছাত্রলীগ নেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
পুলিশ জানায়, ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার গভীর রাতে ভুলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেনের বাড়ির একটি ঝুটের গোডাউনে বোমা বানানোর সময় বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগ নেতা রহমতউল্লাহসহ ৪ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধারের পর রাজধানীর পঙ্গু  হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
সংবাদ পেয়ে পরদিন সকালে রূপগঞ্জ থানার ওসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ বিস্ফোরণস্থল অর্থাৎ ঘরটি তালাবস্থায় দেখতে পান। পরে ঘরের তালা ভেঙে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। আর ওই ঘর থেকে ১০টি রামদা, একাধিক ছোঁড়া ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। বিস্ফোরণের ঘটনার পর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিস্ফোরণের আলামত সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সজিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আহতরা ছাত্রলীগের কেউ নন।
অপরদিকে সম্প্রতি লক্ষ্মীপুরে সিএনজি ও পিকআপ ভ্যানে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় পিকআপ ভ্যান চালকসহ ২জন মারা যান। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতারা জড়িত দাবি করে জামায়াতের পক্ষ থেকে তালিকা প্রকাশ করা হয়। তারা রাতের অন্ধকারে যাত্রীবাহী সিএনজি ও পিকআপ ভ্যানে পেট্রলবোমা হামলার সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মহসিন কবির মুরাদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হোসেনের নেতৃতে ১ জানুয়ারি রাতে লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজের সামনে যাত্রীবাহী সিএনজিতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। পেট্রলবোমায় স্থানীয় যুবলীগ কর্মী পিচ্চি রুবেল, শামীম, মাসুদ ও জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মুরাদ হোসেন জয়সহ ১০ থেকে ১২ জন অংশগ্রহণ করেছিল।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ পরিবারের ওই দুই ছেলে পেট্রলবোমা নয়, গাড়ি ভাঙচুরের মামলার আসামি। কিন্তু বিষয়টা ঘোলাটে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আটককৃতদের একজনের বাবা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তার ছেলেটা প্রকৃতপক্ষে শিবির কর্মী বলে জানান তিনি।
এছাড়া মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সম্প্রতি ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তারা বাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা করছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন; জেলা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মোল্লা (২৪), ছাত্রলীগকর্মী লিমন (২২) ও রানা (১৯)। তাদের কাছে পেট্রলভর্তি দুটি বোতল ও দিয়াশলাই উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ১১ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে আটটার দিকে বাস টার্মিনালের পাশে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িতে পেট্রল ছুঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তিন যুবক। এ সময় পুলিশ তাদের হাতেনাতে আটক করে। তারা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মাগুরার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের কাছে মাম ব্রান্ডের পানির বোতলে ভরা পেট্রল এবং সঙ্গে দিয়াশলাই পাওয়া গেছে।
মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন রায় বলেন, সাজ্জাদ, লিমন ও রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নাশকতা সৃষ্টিই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। এ ঘটনার পর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মেহেদী হাসান বলেন, পেট্রলবোমাসহ জেলা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মোল্লা ও ছাত্রলীগকর্মী লিমন ও রানাকে পুলিশ আটক করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি দুঃখজনক বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
এছাড়া গত ১২ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশকে ঘিরে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে ৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৪টি বিদেশি পিস্তল, ৮৬ রাউন্ড গুলি ও একটি পেট্রলবোমাসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
তাদের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক (বিএমএ) ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ও দুই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাও ছিলেন। তবে অস্ত্রসহ গুলি লাইসেন্স করা বলে পুলিশ নিশ্চিত করে।
পুলিশ জানায়, বিএমএ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াকে ১টি বিদেশি পিস্তল ও ৮ রাউ- গুলিসহ আটক করা হয়। এরপর বিকাল ৪ টায় সমাবেশ চলাকালে টিএসসি সংলগ্ন গেট থেকে বিদেশি ১৪ রাউন্ড গুলিসহ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এই দিন দুপুর আড়াইটায় রমনা কালীমন্দিরের গেট থেকে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু সায়েম শাহীনকে বিদেশি পিস্তল ও ৩৯ রাউ- গুলিসহ আটক করা হয়। এসময় ২৫ রাউ- গুলি ভর্তি পিস্তলসহ মোহাম্মদ জসিম ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে আটক করে পুলিশ। এদের অস্ত্রগুলো লাইসেন্স করা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একই দিন বেলা পৌনে ৩টার দিকে উদ্যানের ভেতর থেকে পেট্রলবোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বোমাটি রাখার দায়ে জাহাঙ্গীর নামে এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, ৪টি পিস্তল, বেশ কিছু গুলি ও ১টি পেট্রলবোমাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স সঠিক না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

শীর্ষ নিউজ ডটকম/এর সৌজন্যে


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন