১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫: নাগরিক সমাজের প্রস্তাবিত জাতীয় সনদের উদ্যোগ নাকচ করে দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
বিএনপি জোটের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে এত সন্ত্রাস এত জঙ্গিবাদ এত দগ্ধ মানুষের আহাজারি, এরপরেও তাদের সঙ্গে সংলাপে বসতে হবে?’
রবিবার জাতীয় জাদুঘরে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ ’৭১ আয়োজিত ‘সন্ত্রাস, সহিংসতা ও জাতীয় নিরাপত্তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মিজানুর এ সব কথা বলেন।
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে নাগরিক সমাজ প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নাগরিক সমাজকে খুব বিনয়ের সঙ্গে বলছি- কিসের জাতীয় সনদ?’
‘যেখানে আমার সংবিধান রয়েছে। আজকে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণার পত্রকে উচ্চ আদালতে সিদ্ধান্ত অনুসারে সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, আমার আর কী সনদ দরকার’ প্রশ্ন তোলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
চলমান সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরাও জানি যে গোলাবারুদ দেয়া হয় মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য নয়। তবে এর মানে কিন্তু এই নয় যে যত্রতত্র গুলি ব্যবহার করা উচিত।’
বিচারবহির্ভূত হত্যায় পরোক্ষ সমর্থন দিতে গিয়ে মিজানুর বলেন, ‘শার্লি হেবদোর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপের কথা কেউ বলেনি। সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হলো পৃথিবীর বুক থেকে। আর আমাদের এখানে এত সন্ত্রাস এত জঙ্গিবাদ এত দগ্ধ মানুষের আহাজারি, এরপরেও তাদের সঙ্গে সংলাপে বসতে হবে?’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের বেছে নিতে হবে কোন পথে এগোবে বাংলাদেশ- ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পথে নাকি ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতির পথে। এটা আদর্শের প্রশ্ন, রাখঢাকের কিছু নেই। মনে হয় জর্জ ডব্লিউ বুশের কথাটি সত্য- আপনি হয় বাংলাদেশের পক্ষে অথবা বিপক্ষে।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘খবরের কাগজে দেখেছি নাগরিক উদ্যোগ ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করবে। আর আমরা বলি যদি আজকের এই সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংসতা নির্মূল করতে না পারা যায়, জঙ্গিবাদের নিধন না হয় তাহলেই মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কে এম সফিউল্লাহ, কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, ম হামিদ প্রমুখ।
ঢাকার নিউজে এর সৌজন্যে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন