বাংলাদেশ বার্তা: ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫: অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, বিরোধী দলের গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান, নিরপেক্ষ সরারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন প্রদানসহ নানা দাবীতে ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের পাশাপাশি হরতাল চলছে।
১ সপ্তাহে আন্দোলন দমানোর জন্য সরকার মাঠে নেমেছে।সরকারের ঘোষণার পর মাঠে যা দেখা গেছে, ২০ দলীয় জোট নেত্রী ও বিএনপির চেয়াপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অফিসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, ডিস, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, সেই সাথে মোমাইল নেট ওয়ার্ড জ্যাম করা হয়েছে। এই সকল ঘটনায় জাতি যেমন হতবাক, বেগম জিয়াও বলেছেন, আমি স্তম্ভিত, এর নিন্দা বা প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
আন্দোলন দমানোর ঘোষণার পর আরো দেখা গেছে পেট্রোল বোমা হামলা যাত্রাবাড়ি, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে এবং দায় বিরোধী দলের উপর চাপনো হয়েছে। খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে। কুমিল্লার ঘটনায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামী এবং জামায়াত নেতা সাবেক এমপি সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিরোধী দলের অভিযোগ এসকল বোমা হামলা সরকারের এজেন্ট দিয়ে করানো হয়েছে যাতে বিরোধী দলের উপর দায় চাপিয়ে আন্দোলন দমানো যায়।
এদিকে পেট্রোল বোমাসহ নোয়াখালি, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ স্থানে আওয়ামীলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজন ধরা পরেছে। আবার রূপগঞ্জে গভীর রাতে বোমা বানাতে গিয়ে আহত হয়েছে ছাত্রলীগের ৪ নেতা কর্মী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ওয়েবপেইজে পেট্রোল বোমা হামলার দায় স্বীকার করে পোস্ট দেয়অ হয়েছে। হৈচৈ পরে যাওয়ায় আবার ৪০ মিনিট পর তা ডিলেট করা হয়। সরকারের আন্দোলন দমানোর কর্মসূচীতে আরো দেখা যাচ্ছে, গুম, খুন ও বন্দুক যুদ্ধের নাটক। চলমান এই আন্দোলনে ৫০ জনের মতো লোক মারা গেছে। এর অরধেক মারা গেছে আইন-মৃংলা বাহিনীর হাতে কথিত বন্দুক যুদ্ধে। এই কথিত বন্দুক যুদ্ধ নিহতদের সম্পরকে ২ ফেব্রুয়ারী জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় চ্যানেল আই “তৃতীয় মাত্রায়” রাতে গণস্বাস্থের সাবেক মহাপরিচালক বতর্মান ট্রাস্টি ও মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, আটক অবস্থায় শিবির কমী কি করে বন্দুক যুদ্ধ করে আমার মাথায় আসে না। তিনি আরো বলেন, দেশে এপর্যন্ত সহিংসতায় ৫০ জনের প্রণহানির ঘটনা ঘটেছে। এটা খুবই নিন্দনীয়। এর জন্য কি শুধুই বিরোধী দল দায়ী? আমার তো মনে হয় না। তিনি বলেন, এই ৫০ জনের মধ্যে পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৪ জনই কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হযেছে। গতকাল পত্রিকায় দেখলাম বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছে আইন-শৃংখলঅ বাহিনী। এরা বলে বন্দুক যুদ্ধে নাকি মারা গেছে। আমার একটা বিষয় কিছুতেই মাথায় আসে না, বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর কি করে আটক অবস্থায় শিবির কর্মী বন্দুক যদ্ধ করে? তিনি আরো বলেন, ৭২ সালে সহিংসতার সাথে সরকার জড়িত ছিল, আর এখনকার নাশকতার জন্য জনগণ স্ট্রংলি মনে করে কিছুটা হলেও সরকার জড়িত।”
এদিকে ৭১’র টিভির টকশোতে জাসদ নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল বলেছেন আন্দোল দমানোর জন্য যা যা করা দরকার সরকার তা তা করেছে।
সেব মিলিয়ে আন্দোলনরতরা যেমনি দাবী আদায় নাহওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে তেমনি সরকার রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা না করে জনগণের দাবী কানে না নিয়ে আন্দোলন দমনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করছে। ইতোমধ্যে প্রধান মন্ত্রী আইন-শৃংখলঅবহিীকে বলেছেন, যে ভাবে পারেন দমন করেন। সব দায়দায়িত্ব আমার।
এদিকে সাধারণ মানুষের অবস্থা ভীষণ খারাপ। একদিকে মানুষের জান-মালইজ্জ্বতের কোন নিরাপত্তা নেই, দেশের অর্থ নৈতিক অবস্থা দিন দিন ভেঙ্গে পরছে।
জনগণসহ সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা মনে করে সরকারের দায় অনেক সরকারএই দায় এরাতে পারে না। সমস্যা সমাধানে সরকারেকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। দমন নয় সমাধান চায় জনগণ। সমস্যা সমাধানের পথ ইতি মধ্যে বহুমুখে জানানো হয়েছে। বর্তমান সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহন যোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন