ইদানীং পেট্রোলবোমায় আহতদের স্মরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বারবার কান্নার ছবি আসছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। যে কান্না দেখে একটা গল্প বলতে ইচ্ছা হচ্ছে.....
একবার এক বুড়ি প্রচন্ড রোদের মধ্যে পথের পাশে দাঁড়িয়ে হাউ, হাউ করে কাঁদছিল তার পাশে তার প্রিয় কুকুরটি ক্ষুধার তীব্রতায় মারা যাচ্ছিল এই অজুহাতে। নিজের চোখের সামনে তার প্রাণপ্রিয় কুকুরের মৃত্যু তিনি কিভাবে সহ্য করবেন? তখন ঐ মহিলার পাশ দিয়ে একটা লোক হেঁটে যাওয়ার সময় বুড়ির এই কান্না দেখে খুব কষ্ট পেলেন, আর মনে মনে ভাবলেন কি প্রাণী দরদী মানুষ এই বুড়ি ভাবা যায়!! তারপর লোকটি বুড়িকে জিজ্ঞেস করলেন..... আচ্ছা বুড়িমা তোমার পুটলির মধ্যে কি রাখা আছে?
বুড়ি চোখ মুছতে মুছতে কইল : হালুয়া আর রুটি।লোকটি তখন বললেন : এত না কেঁদে ওখান থেকে দু,টুকরা রুটি একটু হালুয়া দিলেই তো কুকুরটি বেঁচে যায়।
বুড়ি বলল বাবা কাঁদতে তো আর পয়সা লাগেনা, হালুয়া,রুটি দিতে ঠিকই পয়সা লাগে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রি এখন প্রত্যহই কাঁদছেন পোড়াদের ব্যথায় ব্যথিত হয়ে, যেসব দৃশ্যের ছবিও আসে পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত। বার্ন ইউনিট শ্যুটিং প্লেস না ভাই মনে রাখবেন, আরও অনেকেই তো ওখানে গিয়ে কাঁদেন তাদের কোন কাঁদা ছবি আসেনা কেন মিডিয়ায়? দালালি অার কত করবা তোমরা? রানা প্লাজায় নিহত হাজারও মানুষের জন্য প্রধান মন্ত্রি কতদিন কেঁদেছেন? রানা প্লাজার মালিক সেই সোহেলের বিচার আজও হয়নি কেন? তথাকথিত ক্রসফায়ারে যে ১৯ জন নিহত হয়েছেন তাদের জন্য কাঁদছেন না কেন প্রধানমন্ত্রী ? তারা কি এদেশের নাগরিক নন? প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি এদেশের সবার অভিভাবক কেন এদের বেলায় আপনার অন্তর কাঁদেনা,হৃদয় ফাটেনা?
কান্না নিয়েও রাজনীতি করেন ? এত কান্নার দরকার কি? সংলাপ করলেই তো পারেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন সেটাও তো সত্য তাহলে এখন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে কান্নার এই দ্বার রুদ্ধ করলেই তো পারেন?
ভাই কাঁদতে পারি, সেটা সহজ,তাতে দুই,এক ফোটা চোখের জল খরচ হবে কিন্তু ক্ষমতা তো টিকে থাকবে আজীবন। একটু চোখের জল দিয়ে যদি আজীবন ক্ষমতায় থাকা যায় তো খারাপ কি???
কায়েস মাহমুদ, ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন