প্রথম আলোতে যারা বিজ্ঞাপন দেয়, তাদের সৌজন্যে পার্টি হোটেল পূর্বানীতে। গাইবো আমি আর দিনাত জাহান মুন্নী। ( তাদের বছর ব্যাপী নানান আয়োজনে পারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করে দিতাম।) মাথায়ই ঢুকলো না ব্যাপারটা, বিজ্ঞাপন দাতারা বিজ্ঞাপন দিবে, টাকা গুনবে প্রথম আলো, কলুর বলদের মত ফ্রি গাইবো আমরা, এটা কোন ধরনের সিষ্টেম ? আমি সরাসরি মতি ভাইকে ( প্রথম আলো সম্পাদক ) বলে ফেললাম,গান আমাদের পেশা, প্রোগ্রামে এলে অন্ততঃ একশো টাকা দিতেই হবে। তিনি অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন। শুরু হল পাঁচ হাজার টাকা করে দেয়ার নিয়ম। কবির বকুল ছিলেন প্রথমআলোর বিনোদন প্রধান । ওনার স্ত্রী মুন্নী ফ্রি গাইবেন বা গাইতেই পারেন, এখনো পর্যন্ত গেয়েই চলেছেন। জিপি ফাইভ যারা পায় তাদের প্রথম আলো স্পন্সর নিয়ে সম্বর্ধনা দেয়। বিশাল গাড়ীর বহর, খাওয়া দাওয়া, নন্দন, ফ্যান্টাসী কিংবা ফয়’স লেক সারাদিন বিনোদন, সঙ্গে গানের অনুষ্ঠান। আমি সহ দু/চার জন ৫০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা পাই মিউজিশিয়ান পেমেন্ট সহ।যেটা একপ্রকার ভিক্ষার চাল কাঁড়া আকাঁড়ার মত। সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী আমার গাড়ীতে drop নিতে উঠলেন,জিজ্ঞেস করলাম টাকা পেয়েছেন? তিনি তামিল ছবির মত আকাশ থেকে পড়লেন। আমি বুঝলাম প্রথম আলোর EXTENDED মক্কেল ফিটিংয়ে তিনি পড়ে গিয়েছেন। বাচ্চাদের উৎসাহ দিতে অবশ্যই গান গাইবো আমরা । কিন্তু নেপোয় মারবে দই, ওটা হবে না। প্রথম আলোর কিছু বেয়াদব কর্মচারীর কারনে মতিউর রহমানকে আমার বাসায় টাকা নিয়ে ক্ষমা চাইতে আসতে হয়েছে। এটা শোভনীয় নয় আপনি বছরব্যাপী ক্ষমা চেয়ে ঘুরতে থাকবেন ।আপনার পত্রিকার কিছু কর্মচারী পুরনো ব্যাটারী হয়ে গেছে। এগুলো এতোটাই বাতিল যে রিচার্জ ও করা যাবেনা । অপদার্থ গুলোকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বাকী জীবন শান্তিতে বাঁচুন । লাইনে দাঁড়িয়ে অনলাইনে গান বিক্রি করছে শিল্পীরা – এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ন বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। প্রথম আলোকে গণমুখী করুন, নইলে পতন অনিবার্য ।
ইউরোবিডি নিউজের সৌজন্যে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন