ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সংকট সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছে জাতিসংঘ

১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৫: বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধান, শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ গ্রহণ করছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটির মহাসচিব বান কি মুন এ উদ্যোগ গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক।
জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের স্থিতি ও গণতন্ত্র রক্ষায় জাতিসংঘ মহাসচিব ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমস্যা সমাধানে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গত ১ মাসের পরিস্থিতি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এই পরিস্থিতিতে জীবন হানির ঘটনায় জাতিসংঘ অব্যাহতভাবে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
সহসাই জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগ পরিলক্ষিত হবে বলে সংস্থাটির অপর একটি সূত্রে জানা গেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব ‘ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় জাতিসংঘের মহাসচিব বান-কি মুন ‘ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন সংস্থার মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশ এক সঙ্কটময় পরিস্থিতি পার করছে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সবমাত্রা অতিক্রম করেছে। রাস্তায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্যে সংগ্রাম করছে। গত বছরের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পূর্বে জাতিসংঘের সহকারি মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশ সফর করে কোনো ধরণের সমঝোতা ছাড়াই ফিরে আসেন। ফলে ১৫৪টি আসনে কোনো ধরণের প্রতিদ্ধন্দ্বিতা ছাড়াই ক্ষমতাসীনরা নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। আপনি কি মনে করেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র উদ্বেগ প্রকাশই যথেষ্ট, নাকি একটি একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্কট নিরসনে জাতিসংঘেরর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফারনান্দেজ তারানকো জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং ইতিবাচক উন্নয়নে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অংশীদার। বাংলাদেশ প্রশ্নে জাতিসংঘ গভীরবাবে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে গত বছরের শুরু থেকে সহিংসতা হচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে সেজন্য।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের আগে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতার জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান মুন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে চিঠি লিখেছিলেন এবং টেলিফোনেও কথা বলেছিলেন। কিন্তু তার সেবারের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। উৎসঃ ঢাকার নিউজ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন