তৃতীয় শতাব্দীতে,রোমান সম্রাট ক্লাডিয়াস বিশ্বাস করতেন যে,পরিবারে থাকা বা বিবাহিত সৈন্য থেকে অবিবাহিত সৈন্যরাই অধিকতর ভাল। তাই আইন পাশ করলেন যে, "অবৈধভাবে সকল যুবকরা যৌন চাহিদা নিবারন করতে পারবে" ভেলেন্টাইন নামক রোমান ধর্মজাযক এই আইনের ভয়াবহতা অনুধাবন করে গোপনে যুবক যুবতীদের বিবাহেরর ব্যাবস্থা করলেন এবং সম্রাটের পতনের জন্য কর্যক্রম চালালেন।
সরাসরি আইন অমান্য করার অপরাধে সম্রাট তাকে হত্যা করে। ধর্মজাযকের সম্মান ও স্বরনার্থে পঞ্চম শতাব্দীর ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিশেষ ভোজের( feast day) আয়োজন করা হয়। এর পর থেকে সাধকের নামানুসারে এই দিনটি পালন করা হয়। সতের শতাব্দী থেকে এই দিবস ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে"।
সুতরাং অবৈধ প্রেম,ভালবাসা,য ৌনতা,ইভটিজিং,পাশবিকতা ও নির্যাতন এর পরিবর্তে সুশৃঙ্খল পারিবারিক বন্ধন মজবুত করাই হল
ভালবাসার দিবসের মূলকথা। বর্তমানে এইদিনে একেবারে ১০০% উল্টো চিত্র দেখা যায়।ভালবাসা দিবসে ভালবাসার নামে মূলত অশ্লীলতা,বেহায়া পনা,যৌনতা ও পশুত্বকে উসকে দেয়া হয়। পশুর মত যত্রতত্র একে অপরের উপর হামলে পড়তে দেখা যায়। অবাধ
মেলামেশার মাধ্যমে হানাহানি,মারামা রি এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এর মাধ্যমে সম্মান,শ্রদ্ধা ও পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হচ্ছে। ভালবাসা দিবসের বিশৃঙ্খল পরিবেশ ঠিক করতে প্রশাসনের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রাশ্চাতের জড়বাদী সমাজের কোথাও কোন ভালবাসার চিহ্ন নেই। তাদের পিতার পরিচয় নেই। বয়স্ক পিতামাতা থাকে বৃদ্ধাশ্রমে।পরকীয়ায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর মাঝে নেই কোন বিশ্বাস-ভালবাসা। সন্তান দোলনায় কাঁদে আর কুকুর কোলে বসে হাসে। এই হতাশাগ্রস্থ
পরিবার ও সমাজ সারা বছর অপেক্ষা করে ভালবাসা দিবসের জন্যে। যেদিন সবাই একসাথে পরস্পরকে ভালবাসা বিনিময় করবে এবং সারা বছরের দু:খ ভুলার চেষ্টা করবে।একমাত্র ইসলামই সবার জন্য ভালবাসা নিশ্চিত করে। আল্লাহর রাসুল স: বলেন,"দ্বীন হচ্ছে ভালবাসা বা কল্যান কামনা"। ইসলাম পুরাটাই ভালবাসায় পরিপূর্ন। ইসলামে পিতামতাকে জান্নাতের দরজা বলা হয়েছে। পরিবারের জন্য খরচ করাকে ইবাদত বলা হয়েছে। স্ত্রীর অধিকার সুনিদিস্ট করা হয়েছে। বিধবা ও এতিমদের হক সুস্পস্ট।প্রতিব েশি অভুক্ত থাকলে নিজেদের মুমিন দাবী করা যাবেনা। চাকর,শ্রমিক ও মজুরেরর অধিকার ও মর্যাদার কথাও বাদ যায়নি ইসলামে। প্রত্যেকের স্তর অনুযায়ী প্রত্যেকেই সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হবে।সবাই সবাইকে ভালবাসবে সবসময়।আর এই ভালবাসার মধ্যে থাকবে না কোন কৃত্তিমতা,হটকারীতা,ধোকা ও প্রতারনা। শুধুমাত্র আল্লাহকে ভয় করেই হতে হবে এই ভালবাসা। আল্লাহর রাসুল স: বলেন,আল্লাহ তালা বলেন :যারা শুধুমাত্র আমার জন্যে পরস্পরকে ভালবাসবে,তাদেরক জান্নাতে এমন একটি নুরের মিনার দেয়া হবে যা দেখে নবী ও
শহীদরা ঈর্ষান্বিত হবে। (আবু হুরায়রা,মুত্তাফাকুন আলাই)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন