টাঙ্গাইল শহরের ভিক্টোরিয়া রুটে কসমস কম্পিউটার সেন্টারে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আগুন লাগিয়ে সে আগুনে দগ্ধ হয়েছিল নিজেরাই। অগ্নিদগ্ধ ৯জন নেতাকর্মীর মধ্যে এ পর্যন্ত মৃত্যু হলো দুজনের। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শহীদ সিদ্দিকী (২৫)। তিনি শহরের কলেজ পাড়ার আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে। এছাড়া আগুন লাগানোর সময়ই পুড়ে মারা যান ছাত্রলীগ কর্মী সুমন সাহা (২৭)। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শওকত হোসেন ইমরান জামায়াতের সমর্থক মনে করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের পতাকা মিছিল থেকে নয়জন নেতাকর্মী ওই কম্পিউটার সেন্টারে গিয়ে প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণার্থীদের বের করে দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন ও পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে দড়জা অটোলক হয়ে গেলে নিজেরাই সেখানে আটকা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই সুমন সাহার মৃত্যু ঘটে এবং আহত আটজনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শহীদ সিদ্দিক, শুভ হাসান, মোহাম্মদ শুভ ও বাবুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হুদা নবীন জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৯ টার দিকে শহীদ সিদ্দিকী মারা যান। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন
উৎসঃ নয়া দিগন্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন