শনিবার সকাল ১০টা ২২ মিনিটের দিকে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান তার পাঁচ আইনজীবী। এরা হলেন- অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মহসিনুল আলম ও ব্যারিস্টার মতিউর রহমান আকন্দ।
ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আইনজীবীদের পক্ষে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কামারুজ্জামান তাদের জানিয়েছেন, ফাঁসির বিষয়ে তার কোনো আফসোস নেই। তার একটাই দুঃখ, তিনি ন্যায়বিচার পাননি। তবে তিনি রিভিউ পিটিশন করতে বলেছেন। সেখানে ন্যায়বিচার পাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
এর আগে কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবাল আইনজীবীদের সঙ্গে তার বাবার সাক্ষাতের পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীও জানান, কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পরিবার ও আইনজীবীরা।
এদিকে শনিবার সকালে কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবাল বলেন, ‘আইনজীবীরা দেখা করার পর তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা পরিবারের সদস্যরা দেখা করব। আমি, আমার মা, ভাইবোন ও মামা মনোয়ার হোসেনসহ পাঁচ বা ছয়জন দেখা করতে যাব।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতি মাসে একবার আমরা বাবার সঙ্গে দেখা করি। গত ৩১ জানুয়ারি সবশেষ বাবার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। সে অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাতের কথা ছিল। কিন্তু আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পর এবার দেখা করতে যাচ্ছি।’
কামারুজ্জামানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির জানান, কামারুজ্জামানের সঙ্গে পাঁচজন আইনজীবী দেখা করবেন। তারা হলেন আইনজীবীরা আপিল বিভাগের লিখিত রায়, রিভিউ আবেদন দায়ের ও আইনগত বিষয় সম্পর্কে কামারুজ্জামানের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে জানান তিনি।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীসহ চারজন কামারুজামানের কনডেম সেলে গিয়ে পরোয়ানা পড়ে শোনান। কামারুজ্জামান তাদের কাছে আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ কামারুজ্জামানের আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় দেন। এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর কামারুজ্জামানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখে এ রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। তারও আগে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন