পবিত্র মক্কা নগরীতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফিকাহ বোর্ডের এক সভায় বাংলাদেশের আলেম ও ধর্মীয় নেতাদের ওপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতন বন্ধ ও কারারুদ্ধ ইসলামী চিন্তাবিদ ও নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। গত ১২-১৫ ডিসেম্বর মক্কা মুকাররমায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন,সৌদী গ্রান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ। ফিকাহ বোর্ডের ২১তম এ বোর্ড সভা উদ্বোধন করেন, মক্কার গভর্ণর প্রিন্স খালেদ আল ফয়সাল। সভায় ফিলিস্তিন,সিরিয়া,মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈঠকে আলেমদের ওপর নির্যাতন বন্ধের পাশাপাশি তাদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা হয়। সভায় বলা হয়, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব চেষ্টা চালানো হচ্ছে তাতে দেশটি মুসলিম উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে কুরআন সুন্নাহ থেকে দুরে সরিয়ে রাখার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। এরফলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
সভায় অংশগ্রহণকারী ৬৫ টি দেশের আলেমগণ সৌদী বাদশাহ আবদুল্লাহ এবং মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেতার কবল থেকে রা এবং ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান। সভায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যবেণ ও দেশটির নির্যাতিত আলেমদের সাথে যোগাযোগ রার জন্য আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা রাবেতায়ে আলম আল ইসলামীকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ ছাড়া সংস্থাটির প থেকে সব ধরণের সহযোগিতার তাগিদও দেয়া হয় ওই সভায়।
মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ফিকাহবোর্ডের সভায় মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠী নির্মূলের অপতৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ ব্যাপারে ইসলামী সম্মেলন সংস্থাকে (ওআইসি) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান হয়।
উৎসঃ নয়া দিগন্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন