এক যাত্রী একাত্তর টিভিতে সাক্ষাতকারে বলেছেন,
"হামলার সময় পুলিশ বাসের পাশেই নিরব দর্শকের মত দাড়িয়ে ছিলেন,
যাত্রীদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি ও ফায়ার সার্ভিসেও খবর দেয়নি।"
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে ৭ জনকে হত্যা এবং অন্তত ১৭ জনকে অগ্নিদগ্ধ করার ঘটনায় এলাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে-
এই এলাকাটি রেলমন্ত্রী মজিবুল হকের সমর্থকদের এলাকা। এখানে রয়েছে রেলমন্ত্রীর ভোট ব্যাংক। পুলিশের ভয়ে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা রয়েছে ঘরছাড়া। গত কয়েক দিন আগে নাশকতা দমনের জন্য রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, ছাত্রলীগ কর্মীদের রাস্তায় পাহারা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই নির্দেশ দিয়েছেন ফেনী থেকে নির্বাচিত এমপি ও। তাদের নির্দেশনা পেয়ে গত কয়েক দিন থেকে, ফেনী ও চৌদ্দগ্রাম মহাসড়কে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা। দল বেধে পাহারা দেওয়ার সময় রাত ৩.৩০ এ কিভাবে বাসে পেট্রল বোমা হামলা হতে পারে তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। যেহেতু বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া ও তারা কেউ এলাকায় থাকতে পারছে না তাই তাদের পক্ষে ছাত্রলীগের পাহারার মাঝে নাশকতা করা অসম্ভব। আর এই সুযোগেই বিরোধী জোটের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, মহাসড়কে পাহারা দেওয়া ছাত্রলীগের কর্মীরা বাসে পেট্রল বোমা মারতে পারেন বলে সন্দেহ করছে এলাকাবাসী। হামলায় বেচে যাওয়া এক যাত্রী একাত্তর টিভিতে সাক্ষাতকারে বলেছেন, "হামলার সময় পুলিশ বাসের পাশেই নিরব দর্শকের মত দাড়িয়ে ছিলেন, যাত্রীদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি ও ফায়ার সার্ভিসেও খবর দেয়নি।" যেখানে পুলিশের ওপর 'শুট এট সাইট' এর আদেশ দেয়া রয়েছে, সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে রেলমন্ত্রীর এলাকায় ছাত্রলীগের পাহারা দেবার স্থানে কারা এত নির্মম কাজ রতে পারে? অবশ্যই সরকারী দলের কোন জঙ্গীবাদী সংগঠন না হয় সরকারী কোন গোয়েন্দা সংস্থ্যা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন