“বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে যে, সরকার চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কলুষিত করার জন্য এবং জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর জন্য নাশকতামূলক কর্মকান্ডের আশ্রয় নিচ্ছে। চলমান গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনকে নাশকতা ও সহিংস এবং জঙ্গী কর্মকান্ড হিসেবে দেশে বিদেশে উপস্থাপনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পক্ষে সহানুভুতি অর্জনের দানবীয় কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।
২০ দলীয় জোট এই সমস্ত জঘন্য কর্মকান্ড ও অপকৌশলকে দৃঢ়ভাবে ঘৃনার সাথে প্রত্যাখান করছে। বিবৃতিতে প্রত্যেকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ অন্যান্য নাশকতামূলক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করা হয়। তবে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তিকে যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে এসমস্ত ঘটনার শিকার বানানো না হয়। সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চরিত্রই হচ্ছে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা।
২০ দলীয় জোট মনে করে যে, যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা হামলার মতোই চৌদ্দগ্রামের এই হামলা সুপরিকল্পিতভাবে সরকারী এজেন্টরাই করে থাকতে পারে, যাতে করে এর দায়ভার বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ওপর বর্তিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা যায়। এই জঘন্য হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি ২০ দলীয় জোট গভীর শোক এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যারা বিদ্যুৎহীন এবং অন্যান্য সকল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সগৌরবে প্রকাশ্যে আনন্দ উৎসব করতে পারে তাদের পক্ষে যেকোনো অমানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা সম্ভব।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের কোনো নেতা-কর্মীকে সাক্ষাত করতে দেয়া হচ্ছেনা। আজকেও ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল বাংলাদেশ কল্যান পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীককে বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাত করতে গেলে পুলিশ দুর্ব্যবহার ও হেনস্তা করেছে। এই ঘটনায় ২০ দলীয় জোট ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিবৃতিতে ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো যাচ্ছে।
স্বাধীন বাংলাদেশ কারো পৈত্রিক তালুকদারী নয় এবং ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন