চলমান আন্দোলনে ইতিমধ্যেই ১০৭টি জীবন ঝড়ে গেছে। ৪৪ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন সরকারী দলের অন্তর্ঘাতমূলক পেট্রোল বোমা হামলায় আর ৬৩জন ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মী ও সমর্থক নিহত হয়েছেন সরকারী দলের পোশাকী বাহিনীর ক্রসফায়ার ও গুলিতে অথবা তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায়। গুম করা হয়েছে মোট ৬১জন নেতাকর্মীকে, যাদের মধ্যে ৬ জনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পরবর্তীতে পাওয়া গেছে। আপনারা দেখেছেন শেখ হাসিনা এবং তার দলের মন্ত্রী ও নেতা থেকে শুরু করে পুলিশ র্যাব ও বিজিবির পোশাকধারী কর্মকর্তারা কিভাবে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে হত্যা করার জন্য উষ্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েছে। ফলশ্রতিতে রাজনীতি করা মানুষের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এখন এদের ক্রস ফায়ারে নিহত হচ্ছেন এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষকে এরা হাতে-পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে।
গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতিতে থামিয়ে দিতে বিএনপি এবং ২০দলীয় জোটের আমিসহ পাঁচ শতাধিক নেতার নামে ৭০০'র বেশি হয়রানীমূলক রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বিএনপির মহাসচিবসহ ১০০'র বেশি নেতাকে গ্রেফতার করেছে। সারা দেশে ২০ দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সহ নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দেখিয়ে ৭লক্ষাধিক মানুষের নামে মামলা দিয়েছে। যার মধ্যে ৫ লক্ষাধিক অজ্ঞাত। এই অজ্ঞাতদের স্থানে সাধারণ মানুষকেও গ্রেফতার করে হয়রানী করছে।
এই অবস্থার থেকে উত্তরণের জন্য অবিলম্বে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচর কমিশনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে দেশে গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন