ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক বিরোধিতার পরও ৭১ এর দালাল এটিম শামসুজ্জামানকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক প্রদান

অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে একুশে পদক প্রদানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। এক বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা বলেছেন, এটিএম শামসুজ্জামান ’৭১-এর দালাল। তাকে একুশে পদক প্রদান করায় ১৯৭১ সালের সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি চরম অপমান করা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। আওয়ামী লীগ সমর্থক হওয়ায় একজন চিহ্নিত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানপ্রেমিককে এ পদক দেয়া হচ্ছে। প্রখ্যাত সাহিত্যিক ড. আহমদ শরীফ, ৭ নম্বর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল নূরুজ্জামান বীরউত্তম ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অস্থায়ী সভাপতি শাহরিয়ার কবির সম্পাদিত ‘৭১-এর ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়’ বই-এর ৭ নম্বর অধ্যায়ে লেখা হয়েছে সে সময়ে টেলিভিশন ও রেডিওতে অনুষ্ঠান করে কারা কারা পাকিস্তান সরকারকে সহযোগিতা করেছিলেন। এটিএম শামসুজ্জামান ও নাজমুল হুদা রেডিওতে মামা-ভাগনা নামক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের পক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কবিতা পাঠ করতেন। ওই বইয়ে তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একটি কমিটি সকল দালাল বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করে এবং বাংলাদেশে যেন প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে সে জন্য সুপারিশ করেন। ওই পুস্তকের ১৫২ নম্বর পৃষ্ঠায় ক্রমিক নম্বর ১০-এ এটিএম শামসুজ্জামানকে দালাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ পুস্তকে তিনজন সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে দুইজন বর্তমানে মরহুম। তৃতীয় জন এখনও জীবিত এবং সক্রিয়।
আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি এটিএম শামসুজ্জামান নামক এ ‘দালাল বুদ্ধিজীবী’কে একুশে পদক প্রদান থেকে সরকার যেন বিরত থাকে। সরকার আমাদের দাবি না মানলে, আরও একবার প্রমাণিত হবে, ৭১-এর ঘাতক ও রাজাকাররা যদি বর্তমান আওয়ামী লীগে থাকেন বা সমর্থক হন, তাহলে একটি অদৃশ্য প্রক্রিয়ায় তারা মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত হয়ে যান।
বিবৃতিদাতারা হলেন-মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীক, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আলহাজ আবুল হোসেন, আবেদু রহমান, মিজানুর রহমান খান বীরপ্রতীক, কর্নেল (অব.) মনীষ দেওয়ান, মেজর (অব.) আসাদুজ্জামান, শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, নুরুল আমীন, কুতুবউদ্দিন, নুরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ শাহজাহান, এইচ আর সিদ্দিকী সাজু, রেজাউল করিম, মো. আবদুল মন্নান, সাহাবুদ্দিন রেজা, আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া, মহসিন সরকার, আতিকুর রহমান, নাসির আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, মুজাফফর আহম্মেদ, মোকশেদ
আলী মঙ্গোলিয়া, মো. মোস্তাফা কামাল, ড. শাহআলম, সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কাজী আমিনুর রহমান, খালেদ আহম্মেদ, মো. আবদুল জলিল, ইঞ্জিনিয়ার হালিম, নুর হোসেন মোল্লা, হাজী অলিউল্লাহ বাবলু, আবদুল জব্বার, এডভোকেট ফজলুল রহমান, সৈয়দ হারুনুর রশিদ, আবদুল হাকিম, গোলাম হোসেন, আবদুল আহাদ ও আফজাল কমান্ডার। উৎসঃ ফেইসবুক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন